বৃত্তির টাকা পেতে শিক্ষার্থীদের তথ্য এন্ট্রি-সংশোধন ২৫ জুলাই পর্যন্ত

দৈনিকশিক্ষা প্রতিবেদক |

বৃত্তির টাকা পেতে শিক্ষার্থীদের তথ্য এন্ট্রি ও সংশোধনের নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। আগামী ২৫ জুলাইয়ের মধ্যে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বৃত্তির জন্য নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের তথ্য এমআইএস সফটওয়্যারে এন্ট্রি-সংশোধন ও আগে বৃত্তি পেলেও টাকা বাউন্সড ব্যাক হওয়া শিক্ষার্থীদের তথ্য এন্ট্রির নির্দেশ দেয়া হয়েছে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের। বিষয়টি জানিয়ে আদেশ জারি করেছে অধিদপ্তর।

মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ স্বাক্ষরিত আদেশে বলা হয়, ২০১৯-২০ অর্থবছর থেকে রাজস্বখাতভুক্ত সব ধরনের বৃত্তি জিটুপি পদ্ধতিতে ইএফটির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের রাজস্ব খাতভুক্ত বিভিন্ন শ্রেণিতে মেধাবৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থীদের ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বৃত্তির টাকা পেতে এমআইএস সফটওয়্যারে তথ্য এন্ট্রি, ভুল সংশোধন ও একাধিক এন্ট্রি নিষ্ক্রিয় করা এবং বাউন্সড ব্যাক হওয়া শিক্ষার্থীদের তথ্য আগামী ২৫ জুলাইয়ের মধ্যে এন্ট্রি ও সংশোধনের জন্য সব প্রতিষ্ঠান প্রধান ও দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বলা হলো। বৃত্তি পাওয়া যেসব শিক্ষার্থীর তথ্য আগে এন্ট্রি করা হয়নি তাদের তথ্যও এমআইএস সফটওয়্যারে এন্ট্রি করতে হবে। 

বৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থীদের তথ্য এন্ট্রি নিয়ে বেশ কয়েকদফা নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, অনলাইন সুবিধাসম্পন্ন তফসিলভুক্ত যেকোনো ব্যাংকে শিক্ষার্থীর নিজ নামে অথবা ১৮ বছরের কম শিক্ষার্থীদের বাবা-মায়ের সঙ্গে যৌথ নামে ব্যাংক হিসাব বা স্কুল ব্যাংক হিসাব খুলতে হবে। যৌথ নামে ব্যাংক হিসাব, স্কুল ব্যাংক হিসাব খোলা হলে এমআইএসে শিক্ষার্থীর এন্ট্রি করা হিসাবধারীর নামের স্থলে প্রথমে শিক্ষার্থীর নাম, এরপর অ্যান্ড (and) লিখে শেষে দ্বিতীয় হিসাবধারীর নাম ইংরেজিতে এন্ট্রি করতে হবে। শিক্ষার্থীর নাম ও অনলাইন ব্যাংক হিসাবের নাম অভিন্ন হতে হবে। বৃত্তির গেজেটে শিক্ষার্থীর নামের বানান, এমআইএস সফটওয়্যারে শিক্ষার্থীর নামের বানান এবং হিসাবধারীর নামের বানান অভিন্ন হবে। বৃত্তির গেজেটে নামের বানানে হাইফেন (-) থাকলে সফটওয়্যারে শিক্ষার্থীর নামের বানানে হাইফেন দিতে হবে। কিন্তু হিসাবধারীর নামের স্থলে শিক্ষার্থীর নামের বানানে হাইফেনের স্থলে সিংগেল স্পেস দিতে হবে।

অধিদপ্তর আরো বলছে, অনলাইন ব্যাংক হিসাব নম্বর অবশ্যই ১৩-১৭ ডিজিটের মধ্যে হতে হবে এবং সঠিক ও নির্ভুলভাবে পূরণ করতে হবে। ব্যাংকের নাম, শাখার নাম, রাউটিং নম্বর এবং শিক্ষার্থীর ব্যাংক হিসাব নম্বর সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে। ব্যাংক হিসাবটি বর্তমানে সচল (Active) থাকতে হবে। মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট বা এজেন্ট ব্যাংকের হিসাব নম্বর দেয়া যাবে না। একাধিক এন্ট্রি হয়ে থাকলে সঠিক এন্ট্রিটি রেখে অবশিষ্টগুলো নিষ্ক্রিয় বা ডিএকটিভ করতে হবে।


অধিদপ্তর বলছে, শিক্ষার্থীদের তথ্য এমআইএস সফটওয়্যারে যথাযথভাবে এন্ট্রি হয়েছে কি-না তা নিশ্চিত করার জন্য অবশ্যই দুইজন শিক্ষককে দায়িত্ব দিতে হবে। তথ্য এন্ট্রির ক্ষেত্রে ভুল বা অনিয়ম পরিলক্ষিত হলে প্রতিষ্ঠান প্রধান-দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দায়ী থাকবেন। 

শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।

দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল  SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
পলাতক ফাহিমার ক্যাশিয়ার কামালকে গ্রেফতার দাবি - dainik shiksha পলাতক ফাহিমার ক্যাশিয়ার কামালকে গ্রেফতার দাবি শিক্ষা কমিশন কেনো হলো না - dainik shiksha শিক্ষা কমিশন কেনো হলো না ১৫ এলাকায় ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় হতে পারে - dainik shiksha ১৫ এলাকায় ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় হতে পারে ‘রাজাকার’ স্লোগানের ব্যাখ্যা দিলেন উপদেষ্টা নাহিদ - dainik shiksha ‘রাজাকার’ স্লোগানের ব্যাখ্যা দিলেন উপদেষ্টা নাহিদ উচ্চশিক্ষায় ‘মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা’ - dainik shiksha উচ্চশিক্ষায় ‘মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা’ ভিকারুননিসার সেই ফৌজিয়া এবার ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান হওয়ার দৌড়ে - dainik shiksha ভিকারুননিসার সেই ফৌজিয়া এবার ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান হওয়ার দৌড়ে কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0053970813751221