বৃত্তির সংশোধিত ফলে বাদ পড়লো লালমোহনের ১২৪ শিক্ষার্থী

ভোলা প্রতিনিধি |

ভোলার লালমোহনে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষার নতুন ফলাফলে আগের ফলে বৃত্তি পাওয়া ১২৪ জন শিক্ষার্থী বাদ পড়েছে।  

এদের মধ্যে ট্যালেন্টপুলে বাদ পড়েছে ২৫ জন ও সাধারণ বৃত্তি কোটায় বাদ পড়েছে ৯৯ জন।

এদিকে নতুন যোগ হয়েছে ১২৭ জন শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে ২৫ জন ট্যালেন্টপুলে ও ১০২ জন সাধারণ কোটায় বৃত্তি পেয়েছে।

জানা গেছে, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষার ভুল ফল প্রকাশ হলে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে বিভ্রান্তি দেখা দেয়। ওই তালিকায় ৭০ জন ট্যালেন্টপুলে ‍বৃত্তি থাকলেও বুধবার রাতে সংশোধিত ফলাফলে ২৫ জন বাদ পড়েছে এবং নতুন ২৫ জন যোগ হয়েছে।   
 
একইভাবে সাধারণ কোটায় আগের ১২৪ জনের মধ্যে ৯৯ জন বাদ পড়েছে। সাধারণে যোগ হয়েছে ৪৮ জন।  

ট্যালেন্টপুলে ৭০ জনের সংখ্যা ঠিক থাকলেও সাধারণে ১২৪ থেকে ১২৭ জন হয়েছে।

লালমোহন উপজেলার ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের খাদিজা খানম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে থেকে তিনজন বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নেয় বলে জানান প্রধান শিক্ষক তাসলিমা। প্রথম প্রকাশিত ফলাফলে তাদের দুজনের সাধারণ কোটায় বৃত্তি আসে। ৩৮৮ রোলধারী মো. ছাবিত ও ৩৮৯ রোলধারী ওয়ালি হাসান রুহান নামে এ দুই ছাত্রের বৃত্তি পাওয়ার খবরে পরিবারে ও স্কুলে খুশির বন্যা বইলেও একদিন পরই তা ম্লান হয়ে যায়। সংশোধিত ফলাফলে তাদের বৃত্তি আসেনি। একই ভাবে চরভূতা ইউনিয়নের কুড়ালিয়া কান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম তালিকায় সাধারণ কোটায় বৃত্তি পায় ৪০৬ রোলধারী মুনিয়া ও ৪০৭ রোলধারী তামান্না। পরের সংশোধিত ফলাফলে তাদের আর নাম আসেনি। কালমা ইউনিয়নের লেজ ছকিনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২৩৪ রোলধারী সালমান ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেলেও সংশোধিত তালিকায় তার নাম নেই।

এ ব্যাপারে কুড়ালিয়া কান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মন্টু লাল নন্দী ও উত্তর-পূর্ব হরিগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইয়াহিয়া খান জানান, ২৮ ফেব্রুয়ারি বৃত্তির ফল প্রকাশ হলে যারা বৃত্তি পেয়েছে তাদের পরিবারে আনন্দে মিষ্টি বিতরণ হয়েছে। কিন্তু এখন বৃত্তি না পেয়ে তারা হতাশ।

লালমোহন মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও লালমোহন হা-মীম রেসিডেন্সিয়াল একাডেমির কয়েকজন অভিভাবক জানান, আগের ফলাফল এতোই ক্রুটিপূর্ণ ছিল যে তা অনেক হতাশা সৃষ্টি করেছে। এ দুই প্রতিষ্ঠান পৌর শহরের গুরুত্বপূর্ণ বিদ্যালয়। তাদের বৃত্তি পাওয়ার উপযোগী শিক্ষার্থী থাকলেও প্রথম তালিকায় কেউ বৃত্তি পায়নি। এতে অভিাবকদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। সংশোধিত তালিকায় অবশ্য আশানুরুপ ফলাফল আসে। তবে এরকম কর্মকাণ্ডে কোমলমতি শিশুদের মনে খারাপ প্রভাব পড়ে বলে জানান অভিভাবকরা।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
ইউএনওর ‘মানসিক নির্যাতনে’ শিক্ষকের মৃত্যুর অভিযোগ - dainik shiksha ইউএনওর ‘মানসিক নির্যাতনে’ শিক্ষকের মৃত্যুর অভিযোগ শিক্ষা ক্যাডারে পদোন্নতির সভা ১৮ সেপ্টেম্বর - dainik shiksha শিক্ষা ক্যাডারে পদোন্নতির সভা ১৮ সেপ্টেম্বর সেই অভিযুক্ত রেবেকাই এবার মাউশি ঢাকার ডিডি! - dainik shiksha সেই অভিযুক্ত রেবেকাই এবার মাউশি ঢাকার ডিডি! নাহিদ-দীপুর ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিই মাউশি অধিদপ্তরের ডিজি হচ্ছেন! - dainik shiksha নাহিদ-দীপুর ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিই মাউশি অধিদপ্তরের ডিজি হচ্ছেন! শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডেঙ্গু প্রতিরোধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে- জানতে চায় অধিদপ্তর - dainik shiksha শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডেঙ্গু প্রতিরোধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে- জানতে চায় অধিদপ্তর এক ফ্যাসিস্টকে দেশ ছাড়া করেছি অন্যকে সুযোগ দেয়ার জন্য নয়: সারজিস - dainik shiksha এক ফ্যাসিস্টকে দেশ ছাড়া করেছি অন্যকে সুযোগ দেয়ার জন্য নয়: সারজিস কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0046939849853516