মেধাবী গরিব শিক্ষার্থীদের সরকারি বৃত্তির পাশাপাশি অনেক বেসরকারি ব্যাংক বৃত্তি দিয়ে থাকে। বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ডাচ্-বাংলা ব্যাংক, যে ব্যাংক হাজারো শিক্ষার্থীকে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখায় অর্থিক সহায়তার মাধ্যমে। করোনাভাইরাসের কারণে সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রায় এক বছরের বেশি সময় ধরে বন্ধ রয়েছে। তবে শারীরিকভাবে স্কুল-কলেজে উপস্থিত না হলেও অনলাইন প্লাটফর্মের কার্যক্রম চালু আছে। রোববার (১৮ এপ্রিল) ইত্তেফাক পত্রিকায় প্রকাশিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানা যায়।
চিঠিতে আরও জানা যায় এছাড়াও অ্যাসাইনমেন্ট, মডেল টেস্ট ও ফরম-ফিলাপ চলমান। অনলাইনে পড়া চালিয়ে যাওয়ার জন্য প্রত্যেক ছাত্র ও ছাত্রীর একটি স্মার্টফোন ও পর্যাপ্ত ইন্টারনেট সংযোগ প্রয়োজন। ইন্টারনেটের মূল্য বেশি হওয়ায় অনেকেই শিক্ষাজীবন চালিয়ে যেতে হিমশিম খাচ্ছে। এ অবস্থায়, সরকারি বৃত্তি চালু রাখলেও দুঃখের বিষয় হলো মানবিক এই ব্যাংকগুলো দীর্ঘ এক বছর যেন নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। তারা অনলাইনে পড়াকে কোনোভাবেই মূল্যায়ন করতে পারছে না। যার কারণে দীর্ঘ এক বছর সব ধরনের বৃত্তি বন্ধ রেখেছে। মানবিক দিক বিবেচনা করে হলেও ডাচ্-বাংলা ব্যাংকসহ বৃত্তিসেবা দানকারী প্রতিষ্ঠানের মানবিক সহায়তা দেওয়া প্রয়োজন।
মো. নাঈম তালুকদার, শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ