নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার মোমিনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ২২ শিক্ষার্থীকে বেত দিয়ে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক জেবুন্নেসাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। শিক্ষক জেবুন্নেসাকে ৩ দিনের মধ্যে নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এদিকে খবর ছড়িয়ে পড়লে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুখময় সরকার বিদ্যালয় পরিদর্শন করেন। তিনি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে শিক্ষা কর্মকর্তাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছেন। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফারুক উদ্দিনকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রশাসন। এরই মধ্যে তদন্ত শুরু করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
১১ আগস্ট নলডাঙ্গার মোমিনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণির ২২ শিক্ষার্থীকে বেত দিয়ে পিটিয়েছেন সহকারী শিক্ষক জেবুন্নেসা। বিষয়টি জানতে পেরে আরেক সহকারী শিক্ষক মৌসুমি আকতার উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ে অভিযোগ করেন।
সহকারী শিক্ষক মৌসুমি আকতার জানান, ‘আমার ফুটবল টিমের শিক্ষার্থীদের পিটিয়েছেন সহকারী শিক্ষক জেবুন্নেসা, যাতে তারা বিরতির সময় খেলায় অংশ নিতে না পারে।’
তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে শিক্ষক জেবুন্নেছা বলেছেন, ‘বিজ্ঞান ক্লাসে পড়া না পারায় তাদের বেত দিয়ে মারা হয়েছে। অন্য কোনো কারণে নয়। আমার সহকর্মী অপর শিক্ষিকা মৌসুমি আকতার শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান ক্লাস না করার জন্য উসকানি দিয়েছেন।’
পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাহিদ ও রাসেল বলে, বিজ্ঞান ক্লাসে পড়া না পারায় জেবুন্নেসা ম্যাডাম ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের বেঞ্চের নিচে মাথা ঢুকিয়ে বেত দিয়ে পিটিয়েছেন। প্রতি শিক্ষার্থীকে ৫ থেকে ৭টি করে বেত্রাঘাত করা হয়।
প্রধান শিক্ষক খায়রুল আলম চৌধুরী বলেন, সহকারী শিক্ষক জেবুন্নেসাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। জবাব পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ইউএনও সুখময় সরকার ও প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফারুক উদ্দিন বলেন, শারীরিক ও মানসিক শাস্তির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পাঠদানের কোনো সুযোগ নেই। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হবে।