দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক : উপাধ্যক্ষের সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরে বহিষ্কার করা হয়েছিল বিশ্বনাথের তেলিকোনা এলাহাবাদ ইসলামিয়া আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ আবু তাহির মো. হোসাইনকে। পরে আবার প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব পান তিনি। সে ঘটনার আট মাস পর তাঁর বেতন-ভাতা সাময়িকভাবে বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর।
সম্প্রতি পাওয়া তথ্য থেকে জানা যায়, ৫ জুন থেকে অধ্যক্ষ আবু তাহিরের বেতন-ভাতা বন্ধে স্টপ পেমেন্ট টেম্পোরারিলি নির্দেশনা পাঠায় মাদরাসা অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ফলে চলতি বছরের জুন মাস থেকে তিনি তাঁর বেতন-ভাতা (এমপিও) পাচ্ছেন না।
জানা গেছে, পাঁচ বছর ধরে বিশ্বনাথের তেলিকোনা এলাহাবাদ ইসলামিয়া আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ আবু তাহির মো. হোসাইন এবং উপাধ্যক্ষ মুখলিছুর রহমানের মধ্য দ্বন্দ্ব চলছিল। তারা দুজনই তেলিকোনা গ্রামের বাসিন্দা এবং নিকটাত্মীয়। এক পর্যায়ে তাদের দ্বন্দ্বের বিষয়টি হাইকোর্ট পর্যন্ত গড়ায়। অ্যাডহক কমিটি গঠন করতে না দেওয়াসহ নানা অনিয়মের কারণে ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের ২০ মার্চ মাদরাসার অ্যাডহক কমিটির নেতারা অধ্যক্ষকে চার মাসের বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠান। পরে তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। ওই বছরের ৯ জুলাই অধ্যক্ষের এমপিও সাময়িক স্থগিত করতে অ্যাডহক কমিটির সভার বিবরণ ও নানা দুর্নীতি উল্লেখ করে ঢাকার মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর লিখিত আবেদন পাঠান কমিটির সভাপতি নিজামুল ইসলাম ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হরমুজ আলী।
এর দুই মাসের মাথায় ১০ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট ও শিক্ষা বোর্ডের আদেশ কপি নিয়ে অধ্যক্ষ মাদরাসার অফিস কক্ষে প্রবেশ করতে গেলে তাঁকে বাধা দেওয়া হয়। এক পর্যায়ে অধ্যক্ষকে স্বপদে বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর আট মাস পর তাঁর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় অধ্যক্ষের বেতন-ভাতা সাময়িক স্থগিত করা হয়।
অধ্যক্ষ আবু তাহির মো. হোসাইন জানান, দুর্নীতি কিংবা অনিয়ম নয়। মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্রতিপক্ষের শিক্ষক ও অ্যাডহক কমিটির সদস্যরা আবেদন করে তাঁর এমপিও সাময়িকভাবে বন্ধ করিয়েছেন। এজন্য তিনি আইনি লড়াইয়ে যাবেন।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের সুপারভাইজার আব্দুল হামিদ জানান, সরকারি বিধিমালা লঙ্ঘন করায় ৫ জুন অধ্যক্ষ আবু তাহির মো. হোসাইনের বেতন-ভাতা (এমপিও) বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।