দৈনিকশিক্ষা প্রতিবেদক: ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের ছাত্রী চন্দ্রিমা চৌধুরী রাজধানীর বেনাপোল এক্সপ্রেসে অগ্নিকাণ্ডের পর থেকে নিখোঁজ রয়েছেন। ওই ট্রেনে করে তিনি রাজবাড়ী থেকে ঢাকায় ফিরছিলেন। ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের ১৫-২০ মিনিট আগেও চন্দ্রিমার সাথে তার বড় ভাইয়ের কথা হয়। তবে অগ্নিকাণ্ডের পর থেকে খোঁজ মিলছে না তার।
শনিবার (৬ জানুয়ারি) সকালে এমনটাই জানিয়েছেন চন্দ্রিমার চাচাতো ভাই অনিন্দ্য পাল। তিনি বলেন, ঘটনার দিন সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশ্যে বেনাপোল এক্সপ্রেসে উঠেন চন্দ্রিমা। এরপর বেশ কয়েকবার পরিবারের সঙ্গে তার কথা হয়। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর থেকে তার ফোন বন্ধ রয়েছে, খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
নিখোঁজ চন্দ্রিমা চৌধুরী ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের ফার্মেসি বিভাগের ছাত্রী। তিনি রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় তার বড় ভাইয়ের বাসায় থাকতেন। এখানে থেকে তিনি পড়ালেখা করতেন।
অনিন্দ্য বলেন, শুক্রবার রাত থেকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতাল, সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল হাসপাতাল ও মুগদা মেডিকেল হাসপাতালসহ আশপাশের সব হাসপাতালে আমরা খুঁজেছি। হাসপাতালের মর্গে গিয়েও তার খোঁজ পাইনি। যে চারজন মারা গেছেন তাদেরও দেখেছি। কিন্তু ওই লাশগুলোর মধ্যে তাকে পাইনি।
এর আগে গতকাল শুক্রবার রাত ৯টার দিকে রাজধানীর গোপীবাগ এলাকায়‘বেনাপোল এক্সপ্রেস’ ট্রেনের ৫টি বগিতে আগুন আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় এক শিশুসহ চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।