শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের টিউশন ফি যৌক্তিক পর্যায়ে রাখা হবে। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে জাতীয় পার্টির (জাপা) মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুর লিখিত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, টিউশন ফি যৌক্তিক পর্যায়ে রাখার লক্ষ্যে এরইমধ্যে সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফি কাঠামো সংগ্রহ করা হয়েছে। ওই কাঠামোগুলো পর্যালোচনার কাজ চলমান। শেষ হলে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের টিউশন ফি যৌক্তিক পর্যায়ে রাখার লক্ষ্যে একটি সমন্বিত নীতিমালা বা গাইডলাইন প্রণয়ন করা হবে।
তিনি বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০-এর ৯(৪) ধারা অনুযায়ী প্রত্যেক শিক্ষাবর্ষে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ন্যূনতম শতকরা তিনভাগ আসন প্রত্যন্ত অনুন্নত অঞ্চলের মেধাবী অথচ দরিদ্র শিক্ষার্থীদের ভর্তির জন্য সংরক্ষণ করা হবে। এসব শিক্ষার্থীকে টিউশন ফি ও অন্যান্য ফি ব্যতীত বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নের সুযোগ দেয়ার বিধান রাখা হয়েছে। ওই বিধান অনুযায়ী, মেধাবী ও দরিদ্র শিক্ষার্থীরা স্বল্প বেতনে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করতে পারবে।
সংসদ সদস্য উম্মে কুলসুম স্মৃতির প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী জানান, সরকার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেশের সব জেলায় অন্তত একটি করে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিটি বিভাগে একটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।
সরকারি দলের সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, সারাদেশে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অধীনে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২০ হাজার ৩১৬টি। এর মধ্যে নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয় (ষষ্ঠ থেকে অষ্টম) ২ হাজার ৩৫৭টি, মাধ্যমিক বিদ্যালয় (ষষ্ঠ থেকে দশম) ১৬ হাজার ৫১৬টি এবং স্কুল অ্যান্ড কলেজ এক হাজার ৪৪৩টি।
সরকারি দলের আরেক সংসদ সদস্য মনজুর হোসেনের প্রশ্নের জবাবে দীপু মনি জানান, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের অধীনে আলিয়া মাদরাসার সংখ্যা ৯ হাজার ২৯২টি। এর মধ্যে সরকারি মাদরাসা তিনটি, এমপিওভুক্ত ৮ হাজার ২২৯টি এবং ননএমপিও মাদরাসা এক হাজার ৬০টি। স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসা আছে ৮ হাজার ৯৭২টি।