জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান বলেছেন, যাদের রক্তের ওপর দিয়ে আমরা এই স্বাধীনতা পেয়েছি, তাদের সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। বৈচিত্র্যের নামে আমাদের মধ্যেই বিভাজন তৈরি হলে, বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নে যারা শহীদ হয়েছেন এবং রক্ত দিয়েছেন, তাদের সেই স্বপ্ন ব্যর্থ হবে। শহীদদের স্বপ্ন ব্যর্থ হলে সেই দায় আমাদের ওপরেই আসবে, কারণ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের যোদ্ধাদের কথাতেই তারা স্বৈরাচার পতনের আন্দোলনে নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন।
রোববার দুপুরে জুলাই গণঅভ্যুত্থান : স্মৃতিচারণ ও ভবিষ্যৎ ভাবনা শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। সরকার ও রাজনীতি বিভাগের শিক্ষার্থীবৃন্দের আয়োজনে সমাজবিজ্ঞান অনুষদের গ্যালারিতে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উপাচার্য আরো বলেন, আমাদের উচিত সবার ন্যায় বিচার পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করা। এটা না করা গেলে স্বৈরাচারের সঙ্গে আমাদের কোনো পার্থক্য থাকবে না। তিনি বলেন, কেউ যদি ভিন্নমত পোষণ করে সেটাকে হিংসার পর্যায়ে নেয়া যাবে না। বাংলাদেশ পরিবর্তনের আগে নিজের চরিত্রের পরিবর্তন করতে হবে, রক্তের ঋণ পরিশোধ করতে হলে নিজের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে হবে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এ পরিবর্তন করতে না পারলে, রাষ্ট্র পরিবর্তন করা যাবে না। শিক্ষক-শিক্ষার্থীর কেউ সীমালঙ্ঘন করবেন না বলে উপাচার্য আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কারের দায়িত্ব গুরুত্বপূর্ণ। এই দায়িত্ব যথাযথভাবে সম্পন্ন করতে তিনি সবার সহযোগিতা ও পরামর্শ কামনা করেন।
অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে ছিলেন গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী সাভারের শিক্ষার্থীবৃন্দ। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সোহেল আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আবদুর রব, শহিদ পরিবারের সদস্যগণ, গণঅভ্যুত্থান আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ, সরকার ও রাজনীতি বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ, বিশ^বিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ, সাভারের বিভিন্ন বেসরকারি বিশ^বিদ্যালয় ও স্কুলের শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।