অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে বদলি ব্যবস্থা চালু করাসহ একগুচ্ছ সুপারিশ পেশ করেছে সদ্য সরকারিকৃত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা। একই সঙ্গে সরকারিকৃত মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বৈষম্য নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণেরও দাবি জানিয়েছেন তারা।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) সদ্য সরকারিকৃত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সমস্যা নিরসনে করণীয় নির্ধারণের লক্ষে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এ সুপারিশমালা তুলে ধরা হয়। রাজধানীর ঢাকা সরকারি বধির হাইস্কুলে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সরকারিকৃত মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি সুধাংশু শেখর তালুকদার জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের স্মরণ করে বলেন, সারাদেশে ৩৭২টি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আত্তীকরণ থেকে নানাবিধ বৈষম্যের স্বীকার হয়ে আসছে। সে সব বৈষম্যগুলো দূর করে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি।
সদ্য সরকারিকৃত (আত্তীকৃত) বিদ্যালয়ের বৈষম্যে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সদ্য সরকারিকৃত বিদ্যালযয়ে বদলি হওয়া যায় না ও শূন্য পদ পূরণ করা হয় না। কার্যকর চাকরিকালে বৈষম গ্রেডেশন তালিকা ও পদোন্নতি হয় না। পদ সংরক্ষণ, নিয়মিতকরণ, স্থায়ীকরণ হয় না ও অবসর গ্রহণকারী শিক্ষক-কর্মচারীরা কোনো আর্থিক সুবিধা পাযন না। শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগে বোর্ড মহাপরিচালকের প্রতিনিধি মনোনয়ন দেয়া ও বিভিন্ন সভা-সেমিনারে প্রতিনিধি হিসেবে মনোনীত করা হয় না।
অন্তবর্তীকালীন সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টার কাছে সুপারিশ চেয়ে আলোচকরা বলেন, বদলি ব্যবস্থা চালু করে ২৭টি পদ মনজুর করে দ্রুত শূন্য পদ পূরণ করা প্রয়োজন। কার্যকর চাকরিকাল সন্তুষ্টিকরণের মাধ্যমে গ্রেডেশন তালিকা করে জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণ করে পদোন্নতির প্রয়োজনে ব্যবস্থা গ্রহণ করাসহ দ্রুত পদ সংরক্ষণ, নিয়মতিকরণ স্থায়ীকরণ করা। যাদেরকে নিম্ন গ্রেডে পদায়ন করা হয়েছে তাদেরকে বেসরকারি আমলে প্রাপ্ত গ্রেডে পদায়নের সুপারিশ করা।
আলোচকরা আরো বলেন, অবসর গ্রহণকারী শিক্ষক-কর্মচারীদের পিআরএল, ল্যাম্ম গ্র্যান্ট, পেনশন দ্রুত দেয়া প্রয়োজন।
মতবিনিময় সভায় আরো ছিলেন- সরকারিকৃত মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মামুনুর রশিদ চৌধুরী ও মো. আমিনুল ইসলামসহ অন্য শিক্ষকরা।
তারা জানান, পুরাতন সরকারি স্কুল যেসব সুবিধা পায় সেগুলোর অন্যতম হলো- ১. বদলি ব্যবস্থা চালু আছে ২. ২৭টি পদ বিদ্যমান আছে শূন্য পদ পূরণ করা ৩. কার্যকর চাকরিকালের ভিত্তিতে গ্রেডেশন তালিকা করে জে্যষ্ঠতা নির্ধারণ এবং পদোন্নতি দেয়া হয় ৪. পদ সংরক্ষণ নিয়মিতিকরণ স্থায়ীকরণ দ্রুত হয়। ৫. অবসর গ্রহণকারী শিক্ষক কর্মচারীদের পি আর এল ল্যাম্প গ্রান্ড পেনশন দ্রুত দেয়া হয় ৬. শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ বোর্ড মহাপরিচালকের প্রতিনিধি মনোনীত হয় ৭. বিভিন্ন সভা সেমিনারে প্রতিনিধি হিসেবে মনোনীত করা হয়।
বিপরীতে সদ্য সরকারিকৃত স্কুলগুলো যেসব সুবিধা থেকে বঞ্চিত থাকে সেগুলোর অন্যতম হলো- ১. বদলি হওয়া যায় না ২. শূন্য পদ পূরণ করা হয় না ৩. কার্যকর চাকরিকালে বৈষম্য, গ্রেডশন, তালিকা হয় না, পদোন্নতি হয় না ৪. পদ সংরক্ষণ নিয়মিতিকরণ স্থায়ীকরণ দ্রুত হয় না ৫. অবসর গ্রহণকারী শিক্ষক-কর্মচারী কোনো আর্থিক সুবিধা পান না। ৬. শিক্ষক- কর্মচারী নিয়োগ বোর্ড মহাপরিচালকের প্রতিনিধি মনোনয়ন দেয়া হয় না ৭. বিভিন্ন সভা সেমিনারে প্রতিনিধি হিসেবে মনোনীত করা হয় না।