দৈনিক শিক্ষাডটকম, কুবি : সার্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয়’ কর্মসূচি বাধ্যতামূলক করায় শিক্ষকতা পেশায় চরম অনীহা তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। এমন বৈষম্যমূলক ও পক্ষপাতদুষ্ট সিদ্ধান্তে শিক্ষক সমিতি চরম হতাশা ও উদ্বেগ প্রকাশ করছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার কুবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের ও সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) ড. মাহমুদুল হাছান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমন দাবি করা হয়।
সংগঠনটি বলছে, বিষয়টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে চরম আর্থিক নিরাপত্তাহীনতার তৈরি করার আশঙ্কা রয়েছে।
জানা যায়, সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারি করা দুটি প্রজ্ঞাপন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির নজরে এসেছে। এমন বৈষম্যমূলক ও পক্ষপাতদুষ্ট প্রজ্ঞাপন জারির পরে সরব হয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।
সংগঠনটি দাবি করছে, জারি করা প্রজ্ঞাপনের ফলে সৃষ্ট বৈষম্যের কারণে উচ্চ শিক্ষাক্ষেত্রে যোগ্য ও মেধাবী শিক্ষক সংকট তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। শিক্ষকদের অমর্যাদা, অবজ্ঞা ও মানসিক নিপীড়নের মধ্যে রেখে কোনো সভ্য জাতির উন্নতি হয়েছে এমন নজির বিশ্বের ইতিহাসে নেই।
প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে জাতিকে মেধাশূন্য করার দুরভিসন্ধি এবং সরকার ও শিক্ষকদের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার গভীর ষড়যন্ত্র কি-না এ বিষয়ে সন্দেহ থেকে যায় বলেও মন্তব্য করেছে সংগঠটির নেতারা।
শিক্ষক সমাজে সৃষ্ট উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা, আর্থিক নিরাপত্তাহীনতা লাঘব করার জন্য অনতিবিলম্বে জারিকৃত প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
প্রসঙ্গত, অর্থ মন্ত্রণালয় গত ১৪ মার্চ দুটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা এবং এদের অধীন অঙ্গপ্রতিষ্ঠানে আগামী ১ জুলাই থেকে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সরকার পেনশন ব্যবস্থাপনার আওতাভুক্ত করলো। একই দিন সর্বজনীন পেনশন স্কিম বিধিমালা সংশোধন করে আরেক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সংস্থাগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীর ওপর ১ জুলাইয়ের পর থেকে ‘প্রত্যয়’কর্মসূচি বাধ্যতামূলক। বিদ্যমান প্রগতি, প্রবাস, সুরক্ষা ও সমতা– এই চার পেনশন কর্মসূচি ঐচ্ছিক হলেও নতুন স্কিম বাধ্যতামূলক।