ব্যবসা শাখায় পড়ে মানবিকের প্রবেশপত্র পেলেন দুই এসএসসি পরীক্ষার্থী

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি |

মানিকগঞ্জে এসএসসি পরীক্ষার প্রবেশপত্র ও রেজিস্ট্রেশন কার্ড নিয়ে বিপাকে পড়েছে দুই শিক্ষার্থী। তারা ব্যবসা শিক্ষা শাখায় পড়াশোনা করলেও রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও প্রবেশপত্রে এসেছে মানবিক শাখা লেখা। ফলে ৩০ এপ্রিল তাদের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। বিষয়টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জানালেও কোনো সহযোগিতা না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন ওই দুই শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা। 

ছবি : সংগৃহীত

বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা প্রবেশপত্র ও রেজিস্ট্রেশন কার্ড সংশোধনের জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত আবেদন করেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার জাগীর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আব্দুল কাদের ও সুমাইয়া আক্তার নবম শ্রেণি থেকেই ব্যবসা শিক্ষায় পড়াশোনা করেছে। আসন্ন মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায় তাদের অংশ নেওয়ার কথা। পরীক্ষা শুরু হবে ৩০ এপ্রিল থেকে। কিন্তু তাদের প্রবেশপত্র ও রেজিস্ট্রেশন কার্ড ব্যবসা শাখার পরিবর্তে ভুল করে মানবিক শাখা উল্লেখ করা হয়েছে। 

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী আব্দুল কাদের জানায়, রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও প্রবেশপত্র ভুল হওয়ার বিষয়টি শিক্ষকদের জানালেও তারা বলেছেন এখন কিছুই করার নেই। মানবিক শাখার বিষয়েই আমাকে পরীক্ষা দিতে হবে। দুবছর এক বিভাগে পড়াশোনা করে এখন অন্য বিভাগে পরীক্ষা দিয়ে পাস করা অসম্ভব।

সুমাইয়ার মা রোজিনা আক্তার বলেন, মেয়ে দুবছর ব্যবসা শিক্ষা শাখায় পড়াশোনা করেছে। রেজিস্ট্রেশন ও প্রবেশপত্রে ভুল আসার কারণে এখন শিক্ষকরা বলছেন মানবিক শাখায় পরীক্ষা দিতে হবে। এতে মেয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে। অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে পরীক্ষায় দেওয়াও।

এ বিষয়ে জানাতে চাইলে জাগীর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোশারফ হোসেন বলেন, নবম শ্রেণিতে রেজিস্ট্রেশনের সময় শিক্ষার্থীদের দেওয়া তথ্যই লিপিবদ্ধ করা হয়। এরপরও এ বিষয়ে উচ্চমাধ্যমিক ও শিক্ষা বোর্ডে যোগাযোগ করা হলে সংশোধনের সুযোগ নেই বলে জানিয়েছে। এখন প্রবেশপত্র ও রেজিস্ট্রেশন কার্ড অনুযায়ী ওই দুই পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষা দিতে হবে।

শিক্ষার্থীদের লিখিত আবেদনের বিষয়ে জানতে চাইলে মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ বলেন, বৃহস্পতিবার ঢাকায় ছিলাম। এজন্য পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র ও রেজিস্ট্রেশন কার্ড সংশোধনের আবেদনটি হাতে পাইনি। তবে তাদের সমস্যা সমাধানে কী করা যায় সে বিষয়ে খোঁজ নেবো।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
ইউএনওর ‘মানসিক নির্যাতনে’ শিক্ষকের মৃত্যুর অভিযোগ - dainik shiksha ইউএনওর ‘মানসিক নির্যাতনে’ শিক্ষকের মৃত্যুর অভিযোগ শিক্ষা ক্যাডারে পদোন্নতির সভা ১৮ সেপ্টেম্বর - dainik shiksha শিক্ষা ক্যাডারে পদোন্নতির সভা ১৮ সেপ্টেম্বর সেই অভিযুক্ত রেবেকাই এবার মাউশি ঢাকার ডিডি! - dainik shiksha সেই অভিযুক্ত রেবেকাই এবার মাউশি ঢাকার ডিডি! নাহিদ-দীপুর ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিই মাউশি অধিদপ্তরের ডিজি হচ্ছেন! - dainik shiksha নাহিদ-দীপুর ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিই মাউশি অধিদপ্তরের ডিজি হচ্ছেন! শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডেঙ্গু প্রতিরোধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে- জানতে চায় অধিদপ্তর - dainik shiksha শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডেঙ্গু প্রতিরোধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে- জানতে চায় অধিদপ্তর এক ফ্যাসিস্টকে দেশ ছাড়া করেছি অন্যকে সুযোগ দেয়ার জন্য নয়: সারজিস - dainik shiksha এক ফ্যাসিস্টকে দেশ ছাড়া করেছি অন্যকে সুযোগ দেয়ার জন্য নয়: সারজিস কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0028150081634521