নতুন এমপিওভুক্ত হওয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে আগে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষক-কর্মচারীদের বাদ দিয়ে ব্যাকডেটে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ ও এমপিওভুক্তির অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এ অপচেষ্টা ঠেকাতে নতুন উদ্যোগ নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিওভুক্তির আবেদনের তথ্যের সঙ্গে ব্যানবেইস সংরক্ষিত শিক্ষক-কর্মচারীদের তথ্য যাচাই করতে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। উপজেলা, জেলা ও অঞ্চল পর্যায়ে এমপিওর আবেদনের তথ্য ব্যানবেইসের তথ্যের সঙ্গে যাচাই করে দেখতে বলা হয়েছে।
এ নির্দেশনা দিয়ে গত ৬ এপ্রিল পরিপত্র জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ। রোববার পরিপত্রটি প্রকাশ করা হয়।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোলেমান খান স্বাক্ষরিত পরিপত্রে বলা হয়, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবলকাঠামো ও এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী নতুন কোনো প্রতিষ্ঠান বা স্তর এমপিও কোড পাওয়ার পর ব্যক্তি এমপিওর ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যাচাই বাছাই করার নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, কোনো কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-কর্মচারীর ব্যক্তি এমপিওভুক্তির সময় আগে নিয়োগকৃত শিক্ষক-কর্মচারীকে বাদ দিয়ে পূর্ববর্তী তারিখ ও স্মারক ব্যবহার করে অন্য কোনো শিক্ষক-কর্মচারীকে নিয়োগ দেখিয়ে এমপিওভুক্ত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এ অবস্থায় শিক্ষক কর্মচারীর ব্যক্তি এমপিওভুক্তির আবেদন যাচাই বাছাইয়ের সময় সংশ্লিষ্ট দপ্তর কর্তৃক প্রতিটি ধাপে (উপজেলা, জেলা, অঞ্চল অধিদপ্তর পর্যায়ে) ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দ থেকে ব্যানবেইসে অনলাইনে সংগৃহীত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারীদের ডাটাবেইসে সংরক্ষিত তথ্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে ব্যক্তি এমপিওভুক্তির জন্য দাখিলকৃত তথ্য তুলনামূলক যাচাই বাছাই করতে হবে।
এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও জানিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।