ব্রহ্মপুত্রের পাড়ে ভোগান্তি চরমে

দৈনিক শিক্ষাডটকম, কুড়িগ্রাম |

উজানের ঢলে নদ-নদীর পানি বেড়ে কুড়িগ্রামের চিলমারীতে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বন্যার কবলে পড়েছে উপজেলার ৬টি ইউনিয়রের প্রায় ৭০ হাজার মানুষ। দেখা দিয়েছে খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকট। খেয়ে না খেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন বন্যা কবলিত মানুষেরা। শুকনো স্থান আর গোখাদ্য সংকটে গবাদিপশু নিয়েও ভোগান্তিতে পড়েছেন। ঘরের ভেতর পানি ঢোকায় অনেকে বাড়িঘর ছেড়ে আশ্রয় কেন্দ্র কিংবা উঁচু জায়গায় অবস্থান নিয়েছেন। 

সরেজমিনে দেখা গেছে, অনেকে নৌকায় আশ্রয় নিয়েছেন। অনেকে ঘরের ভেতর মাচা ও চৌকি উঁচু করে সেখানেই আশ্রয় নিয়ে কোনোরকমে জীবন বাঁচাচ্ছেন। এদিকে, বন্যার পানি বৃদ্ধির ফলে নদের ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। গত কয়েকদিনে বিভিন্ন এলাকায় প্রায় তিন শতাধিক পরিবার তাদের বাড়িঘর হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন।

এমন পরিস্থিতিতে সরকারি সাহায্য বানভাসিদের একমাত্র ভরসা হয়ে দাঁড়িয়েছে। পানিবন্দি মানুষের পাশে এনজিওগুলো নেই বলে জানান বানভাসিরা।

এনজিওদের কার্যক্রম দৃশ্যমান না থাকলেও মাঠে উপজেলা প্রশাসন বানভাসিদের সহায়তায় নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। 

উপজেলার নয়ারহাট ইউনিয়নের বজরাদিয়ারখাতা এলাকার মাহফুজার রহমান, আ. রশিদ, শামছুল হক ও সাইফুল ইসলামসহ অনেকেই জানান, বাড়িঘরে পানি ওঠায় গবাদিপশু ও বাচ্চাদের নিয়ে খুব বিপদে আছি। তার ওপর গত দুই দিনে গ্রামের প্রায় ১৭টি বাড়ী নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। এখানে চেয়ারম্যানসহ কাউয়ো হামার খোঁজখবর নেয়নি, ত্রাণও দেয়নি।

একই এলাকার মোছা. মতিজন বেগম (৫৫) বলেন, বানের পানি আসি হামার বাড়িঘর ভাঙিয়ে গেইছে এখন বাজাররত এহনা আশ্রয় নিছি বাজার দেখি এটিও পানি উঠবে কই যামো এলা খায়া না খায়া দিন পারছি।

নয়ারহাট ইউনিয়ন পরিষদের ১ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. রফিকুল ইসলাম উজ্জ্বল বলেন, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাধারন জিআর এবং বন্যার্তদের জন্য সহায়তা আসলেও ইউপি চেয়ারম্যান আমার ওয়ার্ডে কাউকে তা দেননি, ফলে বন্যার্ত ওয়ার্ডবাসীকে নিয়ে বিপাকে রয়েছি। 

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দারিদ্র্যকে পুঁজি করে উপজেলায় এনজিওগুলো তাদের কার্যক্রম চালায়। কিন্তু বন্যার সময় তাদের দুর্গত মানুষের পাশে দেখা যায় না। জনগণের জন্য কাজ করার নামে তারা কী করছে, তাদের আয়-ব্যয়সহ সকল কার্যক্রম খতিয়ে দেখা উচিত।

উপজেলা নিবাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো মিনহাজুল ইসলাম জানান, কার্যক্রম চালানো এনজিওগুলো দুর্গত মানুষদের সহায়তা করার কোনও দৃশ্যমান কার্যক্রম আমার নজরে আসেনি। তবে আজ দুইটি এনজিও আমাকে ফোন দিয়েছিলো তারা বন্যার্ত মানুষের পাশে দাঁড়াবে। 

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. মোশাররফ হোসেন জানান ৩৬ টন চাল ও নগদ ২ লাখ ১০ হাজার টাকা পাওয়া গেছে। ত্রাণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
অ্যাডহক কমিটি সংক্রান্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নতুন নির্দেশনা - dainik shiksha অ্যাডহক কমিটি সংক্রান্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নতুন নির্দেশনা কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে অনতিবিলম্বে প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় এমপিওভুক্ত করতে হবে: নুর - dainik shiksha অনতিবিলম্বে প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় এমপিওভুক্ত করতে হবে: নুর কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে রিকশার ধাক্কায় জাবি ছাত্রীর মৃত্যু, ৩ জনকে পুলিশে সোপর্দ - dainik shiksha রিকশার ধাক্কায় জাবি ছাত্রীর মৃত্যু, ৩ জনকে পুলিশে সোপর্দ ছাত্রদের নতুন দল আসছে জানুয়ারিতে - dainik shiksha ছাত্রদের নতুন দল আসছে জানুয়ারিতে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0029511451721191