দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক: ৫ম গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের সুযোগ দেয়ার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৩৫ ঊর্ধ্বরা।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকালে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) কার্যালয়ের সামনে ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধন ফোরামের ব্যানারে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।
১৭তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ জমির উদ্দিন বলেন, এনটিআরসিএ’র অবহেলায় ১৭তম নিবন্ধনের কার্যক্রম শেষ করতে প্রায় চার বছর লেগেছে। করোনার অজুহাত দিয়ে দীর্ঘদিন পরীক্ষা আয়োজন থেকে বিরত থেকেছে এনটিআরসিএ। তাদের কারণে আমাদের চাকরির বয়স শেষ হয়ে গেছে। আমরা আবেদনের সুযোগ চাই। আবেদনের সুযোগ না দিলে আমরা কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো।
১৭তম নিবন্ধন ফোরামের সাধারণ সম্পাদক উত্তম সরকার জানান, ১৭তম নিবন্ধনে উত্তীর্ণ হয়েও বয়সের গ্যাড়াকলে আমাদের জীবন আটকা পড়েছে। এর দায় এনটিআরসিএ’র। আমরা আবেদনের সুযোগ চাই। সারা দেশের ১৭তম ৩৫ ঊর্ধ্ব নিবন্ধনধারীদের আমাদের কর্মসূচিতে যোগ দেয়ার আহবান জানাচ্ছি।
জানা যায়, করোনার কারণে সারা বিশ্বের মতো দেশের সব দাপ্তরিক কার্যক্রম থমকে যায়। যার ফলে নিবন্ধন পরীক্ষার প্রক্রিয়া শেষ করতে সময় লেগেছে প্রায় চার বছর। পরে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে সরকার সব দপ্তরেই ক্ষতিপূরণ হিসেবে কিছু সুযোগ- সুবিধা ঘোষণা করে। এরই অংশ হিসেবে সরকারি ও স্বায়ত্ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে নিয়োগে ৩৯ মাস বয়স ছাড় দেয়া হয়।
কিন্তু এই সুযোগ- সুবিধার আওতার বাইরে থেকে যেতে পারেন বলে আশঙ্কা করছেন ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনে উর্ত্তীণ প্রায় ৩ থেকে ৪ হাজার চাকরিপ্রার্থী। তাই তারা এখন নিয়োগের ক্ষেত্রেও করোনাকালীন সরকার ঘোষিত বয়সের ছাড় চাচ্ছেন।
তাদের দাবি, এখন বয়স ৩৫ বছর অতিক্রম করাদের ক্ষেত্রে বয়সের ছাড় দিয়ে পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তিতে তাদের আবেদনের সুযোগ দেয়া হোক।
লিখিত বক্তব্যে তারা আরো বলেন, ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয় ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের ২৩ জানুয়ারি। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ থেকে শুরু করে মৌখিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ করতে প্রায় চার বছর সময় লেগে যায়। ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় আবেদনের সময় আমাদের অনেকের বয়স ৩১, ৩২, ৩৩ এবং ৩৪ বছর থাকলেও চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পর অনেকের বয়স ৩৫ বছর পার হয়ে গেছে।
এর আগে গত ১২ ফেব্রুয়ারি একই দাবিতে এনটিআরসিএ’র কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করেছেন ১৭তম নিবন্ধনের ৩৫ ঊর্ধ্বরা। এছাড়া আবেদনের সুযোগ চেয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং এনটিআরসিএ’র চেয়ারম্যান বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন তারা।