জালিয়াতি করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ভর্তির অভিযোগ পাওয়া গেছে আট শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। ২০২১-২২ শিক্ষাবষের্র ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি করে তারা ইতোমধ্যে ভর্তিও হয়েছেন। জালিয়াতি চক্রে জড়িত বিশ্ববিদ্যালয়েরই চার শিক্ষার্থীর নাম উঠে এসেছে।
তারা হলেন- রাবির ত্রিপলি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ফারহান মাহিন, লোকপ্রশাসন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সনেট, একই বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শিশির এবং আইন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মো. শফিউল্লাহ। সূত্র জানিয়েছে, এদের মধ্যে ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সি দিয়ে চান্স পাইয়ে দেয়ার কাজটি করে থাকেন মাহিন। সবশেষ রাবির ভর্তি পরীক্ষায় ‘সি’ ইউনিটে আলিফ হোসেন নামে এক ভর্তিচ্ছুর প্রবেশপত্রের ছবি পরিবর্তন করে পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ভর্তির সুযোগ করে দেন তিনি। পরীক্ষায় ৭৩ দশমিক ৪৫ নম্বর পেয়ে ৩৩৪তম মেরিট পজিশন বাগিয়ে নেয়া হয়। প্রবেশপত্রের পুরাতন ও নতুন ছবি তার প্রমাণ। মাহিনের স্ত্রী মনিরা ইসলামও অন্য মেয়েদের প্রক্সির সঙ্গে জড়িত। বর্তমানে খুলনা মেডিকেলে ইন্টার্ন করছেন তিনি। সূত্র বলছে, নগরীর বাটার মোড় এলাকার একটি কোচিং সেন্টারে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের টাকার বিনিময়ে ভর্তির চুক্তি হত চক্রটির। এ ব্যাপারে চক্রের অন্যতম সদস্য রাবির ত্রিপলি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ফারহান মাহিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে কথা বলতে রাজি হননি তিনি।
এ বিষয়ে রাবির ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক তারেক নুর বলেন, একটি চক্রের প্রাথমিক তথ্য পেয়েছি। এখন প্রকাশ করছি না। ভর্তি পরীক্ষা শেষ হলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। আর প্রক্টর প্রফেসর মো. আসাবুল হক জানান, জালিয়াতি করে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী ভর্তির বিষয়টি তারা আইসিটি সেন্টার থেকে নিশ্চিত হয়েছেন। অচিরেই তাদের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।