দৈনিক শিক্ষাডটকম, পঞ্চগড়: পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় নতুন শিক্ষানীতির কারণে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি নিয়ে বিপাকে শতাধিকের বেশি শিক্ষার্থী। ফেব্রুয়ারি মাস পার হতে চললেও এখনো শতাধিক শিক্ষার্থী ভর্তি হতে পারেনি। এতে করে এসব শিক্ষার্থীর ঝরে পড়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে ।
প্রাথমিকের গণ্ডি পেরিয়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভালো স্কুলে ভর্তি হওয়ার স্বপ্ন থাকলেও মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের নতুন শিক্ষানীতিতে ভালো কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে পারেনি অনেক শিক্ষার্থী। ভালো স্কুলগুলোয় ছোটাছুটি করেও ছেলেমেয়েকে ভর্তি করাতে পারেননি অভিভাবকরা। এতে করে নতুন কারিকুলামের কারণে বিপাকে পড়েছেন অনেক অভিভাবক।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দে প্রাথমিক সমাপনী উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২ হাজার ২৫৯ জন। মাধ্যমিক স্কুলের হিসাব অনুযায়ী আসন ভিত্তিতে এখনো শতাধিক শিক্ষার্থীর ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হওয়ার অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। কারণ হিসেবে জানা গেছে, শিক্ষা অধিদপ্তরের নতুন কারিকুলামের নির্দেশনা অনুযায়ী যেসব মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শাখা অনুমোদন রয়েছে সেসব স্কুলে ৫৫ জন করে দুটি শাখায় ১১০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করাতে পারবেন। আর যেসব স্কুলে শাখা নেই, সেসব স্কুলে শুধু ৫৫ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করাতে পারবেন। এ কারণে অধিকাংশ মাধ্যমিক স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণিতে শাখা না খোলায় শিক্ষার্থীরা প্রত্যাশিত স্কুলে ভর্তিতে ভোগান্তিতে পড়েছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, তেঁতুলিয়া উপজেলা সদরের দর্জিপাড়া, কানকাটা, শারিয়ালজোত, সাহেবজোত, পুরাতন বাজার, ডাঙ্গাপাড়া, মাথাফাটা, আজিজনগর, কোম্পানি জোত, বিড়ালীজোত, বুড়িমুটকি ও রনচণ্ডীর মতো সীমান্ত গ্রামগুলোতে অনেকে পাথর শ্রমিক, দিনমজুর, কৃষকের ঘর থেকে দারিদ্র্যের মধ্যে পড়ালেখা করে পঞ্চম শ্রেণি পাস করলেও তারা নতুন কারিকুলামের কারণে কাছের কোনো বিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারেনি।
তেঁতুলিয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শাখাওয়াত হোসেন বলেন, নতুন কারিকুলামের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, যেসব বিদ্যালয়ে শাখা রয়েছে তারা প্রতি শাখায় ৫৫ জন করে শিক্ষার্থী ভর্তি করাতে পারবে। আর যাদের শাখার অনুমোদন নেই তারা শুধু ৫৫ শিক্ষার্থী ভর্তি করাতে পারবে। এর বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই।
পঞ্চগড় জেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ সাইফুল মালেক বলেন, এটা শিক্ষা অধিদপ্তরের ব্যাপার। উনারা যেটা ভালো মনে করেছেন, সেভাবেই তো চলবে। আমার তো এখানে কিছু করার নেই।