ভাতার দাবিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি শুরু করেছে ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সাইন্স অ্যান্ড মিডওয়াইফারি পাস করা ইন্টার্ন নার্সরা।
রোববার (১ অক্টোবর) সকাল ১০টা থেকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে তারা এই কর্মবিরতি শুরু করেন। জেলা হাসপাতালের ৪৮ জন ইন্টার্ন নার্স এই কর্মবিরতিতে অংশ নেন।
এসময় ইন্টার্ন নার্সরা জানান, তাদের লগবুকের ১৪নম্বর পৃষ্ঠার কোড অব কন্ডাক্টে ইন্টার্ন ভাতার কথা উল্লেখ থাকলেও এখন পর্যন্ত কোনো বরাদ্দ পাননি তারা। নার্সিংয়ে ৯০ শতাংশ শিক্ষার্থী মেয়ে। সপ্তাহে দুই দিন করে মর্নিং, ইভেনিং এবং নাইট ডিউটি করতে হয়। নেই কোনো হোস্টেল সুবিধা।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজার, বাসা-ভাড়া, থাকা-খাওয়া, যাতায়াত, হাত খরচ ইত্যাদি মিলিয়ে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা খরচ হয়ে যায়। ইন্টার্ন ভাতা না পাওয়ায় নিম্নমানের বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতে হচ্ছে তাদের। পড়াশোনা শেষ করে ইন্টার্ন করা অবস্থায় বাসা থেকে টাকা আনাও কষ্টসাধ্য হয়ে যাচ্ছে। তাই অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে কর্মবিরতির পথ বেছে নিয়েছেন ইন্টার্ন নার্সরা।কর্মবিরতি ছাড়াও সকালে জেলা হাসপাতালে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ ডিপ্লোমা ইন্টার্ন নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোস্তাক আহমেদ, সহসভাপতি মো. রিয়াল, মিজানুর রহমান, সুমন আলী, সাধারণ সম্পাদক সানজিদা বৃষ্টি, সহসাধারণ সম্পাদক সবনম মুস্তারিসহ অন্যান্যরা।
বাংলাদেশ ডিপ্লোমা ইন্টার্ন নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি মোস্তাক আহমেদ বলেন, আমরা তিন বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সাইন্স অ্যান্ড মিডওয়াইফারি কোর্স সম্পন্ন করে জেলা হাসপাতালে ইন্টার্ন নার্স হিসেবে কর্মরত আছি। কোর্স কারিকুলাম অনুযায়ী ছয় মাস মেয়াদি ইন্টার্নশিপ করার সময় ইন্টার্ন ভাতা বরাদ্দ ও মঞ্জুরির জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বারবার অনুরোধ জানালেও এখন পর্যন্ত আমরা ইন্টার্ন ভাতা বাবদ কোনো বরাদ্দ পাইনি।
২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. মাসুদ পারভেজ জানান, ইন্টার্ন নার্সরা তাদের নিজেদের দাবিতে কর্মবিরতি করছে। এতে স্বাস্থ্যসেবায় কোনো ধরনের ব্যাঘাত ঘটবে না বা এতে কোনো প্রভাব পড়বে না। বিকল্প ব্যবস্থায় নার্সের ব্যবস্থা করে জরুরি সেবা ও হাসপাতালের চিকিৎসা কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে।