ভারতের উত্তর প্রদেশের হাতরাস শহরে আজ মঙ্গলবার ধর্মীয় সমাবেশে পদদলিত হয়ে অন্তত ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় সরকারি চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে এএফপি এ তথ্য জানান। এদিকে ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবরে নিহতের সংখ্যা ৫০ বলে দাবি করা হয়।
স্থানীয় সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকেরা আশঙ্কা করছেন হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে।
রাজধানী নয়াদিল্লি থেকে ১৪০ কিলোমিটার দূরে হাতরাস শহরে শিব দেবতার পূজা উপলক্ষে পুণ্যার্থীরা জড়ো হয়েছিলেন।
রাজ্যের একজন জ্যেষ্ঠ চিকিৎসা কর্মকর্তা রাম মোহন তিওয়ারি এএফপিকে বলেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত ২৭ জনের মরদেহ পেয়েছি...আরও আসছে।’
প্রধান মেডিকেল কর্মকর্তা উমেশ কুমার ত্রিপাঠি বলেন, নিহতদের মধ্যে ২৫ জন নারী ও দুজন পুরুষ। আহত অনেকে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
এদিকে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবরে বলা হয়, হাতরাসের এসএসপি দপ্তরের তথ্যমতে হাতরাসের মুঘলগড়ী গ্রামে ধর্মীয় এক আয়োজন চলার সময় এই ঘটনা ঘটে।
ইতাহ এসএসপি রাজেশ কুমার সিং বলেন, মরদেহগুলো ইতাহ হাসপাতাল পাঠানো হচ্ছে। তাদের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
ভারতে বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসবের সময় মন্দিরে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা প্রায়ই ঘটে। ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দে কেরালায় একটি মন্দিরে হিন্দুদের নতুন বছর উদ্যাপনের সময় নিষিদ্ধ আতশবাজি ফুটানোর সময় ব্যাপক বিস্ফোরণ ঘটে। এতে অন্তত ১১২ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
মধ্য প্রদেশে ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দে একটি মন্দিরের কাছে সেতুতে পদদলিত হয়ে ১১৫ জন পুণ্যার্থীর মৃত্যু হয়ছিল। সে সময় সেখানে ৪ লাখের মতো মানুষ জড়ো হয়েছিল। গুজব ছড়িয়ে পরেছিল সেতুটি ধসে পড়বে, আর তখনই এই পদদলনের ঘটনা ঘটে।
২০০৮ খ্রিষ্টাব্দেও রাজস্থানের যোধপুরে পদদলিত হয়ে ২২৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল।