বাংলাদেশে পদ্ধতিগতভাবে মন্দির এবং দেবতাদের অপবিত্রতা ও ক্ষতি করার অভিযোগ তুলেছে ভারত। এ নিয়ে বিবৃতিও দিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ঢাকার বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগকে ভিত্তিহীন ও অযাচিত বলে পাল্টা বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সোমবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে আরও বলা হয়, গত ১২ অক্টোবর ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের একটি বিবৃতি বাংলাদেশ সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। যাতে হিন্দু এবং সব সংখ্যালঘু ও তাদের উপাসনালয়গুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে আহ্বান জানানো হয়েছে। বিশেষ করে এই দূর্গাপুজার সময়। পাশাপাশি উল্লিখিত অভিযোগটি তোলা হয়।
একই দিন আরেক বিবৃতিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বাংলাদেশের হিন্দু ধর্মাবলম্বী জনগোষ্ঠী এবারও দেশব্যাপী তাঁদের সর্ববৃহৎ উৎসব দুর্গাপূজা আনন্দঘন পরিবেশে উদযাপন করেছে।
পূজা উপলক্ষে সারাদেশে ৩২ হাজারের বেশি মন্ডপ স্থাপন করা হয়, যেখানে হিন্দু নারী, পুরুষ এবং শিশুরা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে দশদিনব্যাপী এ উৎসব। কোনো ধরনের উস্কানি ও অপপ্রচারকে উপেক্ষা করে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের প্রতি সম্পূর্ণ আস্থা রেখে উৎসব পালনের জন্য সরকার সব হিন্দু ধর্মাবলম্বীকে অভিনন্দন জানিয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, গত সপ্তাহে সারা দেশে যে কয়েকটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে সরকার অনতিবিলম্বে কঠোর ব্যবস্থাও গ্রহণ করেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বেসামরিক প্রশাসন এ পর্যন্ত ১১টি মামলা করেছে এবং এসব ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ১৭ জনকে ইতোমধ্যে আটক করা হয়েছে। বাংলাদেশে সব নাগরিকের, বিশেষ করে ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়টি সরকার একান্ত কর্তব্যরূপে গণ্য করে।