দেশব্যাপী চলছে উচ্চমাধ্যমিকে ভর্তির অনলাইন আবেদন। এবার মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায় সিলেট বোর্ডে উত্তীর্ণ হয়েছে ১ লাখ ১৫ হাজার ৩৯১ জন। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭ হাজার ৫৬৫ জন এবং জিপিএ-৪ পেয়েছে ২৩ হাজার ৯৭০ জন। অর্থাৎ, এসএসসি উত্তীর্ণ ৩১ হাজার ৫৬৫ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে অনেকে চাহিদা মতো ভালো কলেজে ভর্তির সুযোগ পাবে না।
মানসম্মত কলেজ না থাকায় জিপিএ-৫ পেয়েও প্রত্যাশিত কলেজের ভর্তি হওয়া নিয়ে শঙ্কায় শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকরা। সিলেট বোর্ডে এসএসসি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে সিলেট এমসি কলেজ, সরকারি কলেজ, সরকারি মহিলা কলেজ, জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ, বর্ডার গার্ড পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সিলেট সরকারি অগ্রগামী বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজ, সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজ, সুনামগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজ, হবিগঞ্জ সরকারি বৃন্দাবন কলেজ, হবিগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজ, মৌলভীবাজার সরকারি কলেজ, মৌলভীবাজার সরকারি মহিলা কলেজ, বিএএফ শাহীন কলেজ। এসব কলেজে আসন সংখ্যা রয়েছে ১০ সহস াধিক, যা শিক্ষার্থীর চাহিদার এক-তৃতীয়াংশ। বিশেষ করে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা রয়েছেন বেশি বিড়ম্বনায়।
এ বিভাগে উত্তীর্ণ ২৩ হাজার ২৩০ জনের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬ হাজার ৮৯৪ জন এবং জিপিএ-৪ পেয়েছে ১১ হাজার ৪৫১ জন। এ বিভাগে ভালো ফল করেও প্রত্যাশিত কলেজে ভর্তি হওয়া নিয়ে অনেকের মধ্যে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। দুশ্চিন্তা দেখা দিয়েছে অভিভাবকদের মধ্যেও। সিলেটে ভালো কলেজগুলোয় বিজ্ঞান বিভাগে আসন রয়েছে ২ হাজার ৯৫০টি।
শাহ খররুম ডিগ্রি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ শিক্ষাবিদ প্রফেসর সিরাজুল ইসলাম জানান, চাহিদার সঙ্গে সিলেটের ভালো কলেজগুলোর আসনের কোনো সংগতি নেই। ফলে শিক্ষার্থীরা তাদের প্রত্যাশিত ভালো কলেজে ভর্তি হওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এজন্য প্রয়োজন নামিদামি ও প্রাচীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর আসন বৃদ্ধি করা। শিক্ষা নিয়ে সিলেটে যে বাণিজ্যিক মানসিকতা তৈরি হয়েছে, সেটা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
সিলেটে নতুন কোনো প্রতিষ্ঠান অনুমোদন না দিয়ে মানসম্মত কলেজগুলোয় আসন বাড়াতে হবে। একই সঙ্গে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের গুণগতমান বৃদ্ধির লক্ষ্যে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।