ভাষা সৈনিক আবদুল মতিনের মৃত্যুবার্ষিকী আজ। আবদুল মতিন ১৯২৬ খ্রিষ্টাব্দের ৩ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার ধুবালীয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যাচেলর অব আর্টসে স্নাতক এবং পরে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন।
বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে আন্দোলন সংগঠকদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন আবদুল মতিন। ১৯৫২ খ্রিষ্টাব্দে সর্বদলীয় রাষ্ট্র্রভাষা সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে ভাষা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন তিনি। ১৯৫২ খ্রিষ্টাব্দের ২১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের সামনে তার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় ১৪৪ ধারা ভাঙার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ভাষা আন্দোলনে অবদান রাখায় ২০০১ খ্রিষ্টাব্দে তিনি একুশে পদক লাভ করেন।
ভাষা আন্দোলনের পর তিনি ছাত্র ইউনিয়ন গঠনে ভূমিকা রাখেন এবং পরে সংগঠনটির সভাপতি হন। এর পর কমিউনিস্ট আন্দোলনে সক্রিয় হন। ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি (পুনর্গঠিত) ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট লীগ ঐক্যবদ্ধ হয়ে বাংলাদেশের ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগ গঠিত হয় এবং আবদুল মতিন নবগঠিত দলের উপদেষ্টামণ্ডলীর অন্যতম সদস্য মনোনীত হন। আমৃত্যু তিনি এ পদে আসীন ছিলেন।
একুশে পদক ছাড়াও তিনি বহু পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন। আজীবন সংগ্রামী এ মানুষটি চিকিৎসাবিজ্ঞানের স্বার্থে দেহ দান করে গেছেন। ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দের এই দিনে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে মারা যান তিনি।