যথাযথ মর্যাদায় ঢাকার ভাসানটেক সরকারি কলেজে মহান বিজয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে শুক্রবার সূর্যোদয়লগ্নে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
পরে ‘বাংলাদেশের হৃদয় হতে’ ম্যূরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পর বেলা ১০টায় কলেজ মিলনায়তনে আলোচনাসভা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানের শেষপর্বে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত বিভিন্ন বিষয়ের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মাহমুদা খাতুন। বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক এবং বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আতিয়া খন্দকার। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিজয় দিবস পালন কমিটির আহ্বায়ক এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রাহিলা হাশেম। আলোচনা অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থী-শিক্ষকরা অংশ নিয়ে জাতির পিতার স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ প্রতিষ্ঠা করার গভীর প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের আনুষ্ঠানিকতার মধ্যদিয়ে বাংলাদেশের প্রকৃত ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংগ্রাম, অর্জন প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে। তাহলেই সার্থক হবে মহান বিজয় দিবসের সব আনুষ্ঠানিকতা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মাহমুদা খাতুন বলেন, বাঙালির হাজার বছরের জীবন কাঁপানো ইতিহাস মহান স্বাধীনতা। বাংলাদেশের অভ্যুদয় বিশ্ব ইতিহাসে গৌরব দীপ্ত অধ্যায়। দীর্ঘ নয় মাস বাঙালি স্বদেশে, রণাঙ্গনে ও প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতে আশ্রয় গ্রহণ করে জীবনযুদ্ধে অবতীর্ণ হয়। বহু বিসর্জন শেষে ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় পতাকা ওড়ে। পাকিস্তানি দখলদারদের হাত থেকে মুক্ত হয়ে বাঙালির জাতির বিজয় অর্জনের মহিমান্বিত দিন ১৬ ডিসেম্বর। যা আমাদের বাঙালির জাতির সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন। বাঙালি জাতির লালিত স্বপ্ন স্বাধীনতা। দীর্ঘ ২৩ বছর রাজনৈতিক আন্দোলন-সংগ্রাম ও ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাঙালি জাতির সবচেয়ে বড় অর্জন এ বিজয়।