গণপরিবহনে ভাড়া বৃদ্ধির নামে যাত্রী হয়রানি বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সড়ক পরিবহন সচিব, বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথোরিটির (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যানকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০২ ডিসেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আবু তালেব এ নোটিশ পাঠান।
নোটিশ পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করে আইনজীবী আবু তালেব সাংবাদিকদের বলেন, গণপরিবহনে অযৌক্তিক ও অস্বাভাবিক ভাড়া বৃদ্ধি এবং ভাড়া বৃদ্ধির নামে সাধারণ যাত্রীদের হয়রানি বন্ধে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন তিনি। নোটিশ পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ না নিলে এর প্রতিকার চেয়ে হাইকোর্টে রিট করবেন।
নোটিশে বলা হয়েছে, ঢাকাসহ সারাদেশে যেসব গণপরিবহন পেট্রোল, ডিজেল ও গ্যাস দ্বারা পরিচালিত হয় তা নির্ধারণ করে প্রতিটি গণপরিবহনে বিআরটিএ’র লোগোসহ পরিবহনের সামনে ও পেছনে নেমপ্লেট আকারে সাটাতে হবে। যাতে যাত্রী সাধারণ বুঝতে পারেন যে, কোন পরিবহনটি গ্যাসে চালিত আর কোনটি পেট্রোল কিংবা ডিজেলে চলে।
রাজধানীসহ দেশের সকল রুটের স্টপেজ টু স্টপেজের ভাড়া কত তা নির্ধারণ করে প্রচলিত আইন অনুযায়ী সকল পরিবহনের মালিক-শ্রমিকদের ভাড়ার তালিকা টানানো বাধ্যতামূলক করতে হবে। আর সুনির্দিষ্ট স্টপেজে সাইনবোর্ড কিংবা ইলেকট্রনিকস বিলবোর্ডে সেগুলো লিখে ডিসপ্লে করতে হবে, যাতে যাত্রীরা ভাড়া সম্পর্কে অবগত হতে পারেন।
ভাড়া নির্ধারণের আইনগত ভিত্তি কী? এটা কি মালিকদের দাবির মুখে অনুমোদন দেওয়া হয়, না কিলোমিটার প্রতি বাস ও লঞ্চের ভাড়া নির্ধারণে সংসদ প্রণীত আইনের অধীনে কখন ও কত বছর পরপর ভাড়া বৃদ্ধি করা হবে, এ মর্মে কোন বিধি রয়েছে কিনা তার স্পষ্ট ব্যাখ্যা দিতে হবে। শিক্ষার্থীদের বাস ও লঞ্চ ভাড়া অর্ধেক নেওয়ার সিদ্বান্ত অনতিবিলম্বে প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করতে হবে। সারাদেশে কতগুলো বাস ও লঞ্চ তথা গণপরিবহনের ফিটনেস সার্টিফিকেট রয়েছে ও কতগুলোর নেই এবং কত সংখ্যক ড্রাইভারের লাইসেন্স আছে তাও জানাতে বলা হয়েছে। এছাড়া যাত্রীদের ঠকানোর জন্য মালিকদের হাতিয়ার ওয়েবিল। এটার কথিত প্রয়োগ যথাশিগির বন্ধ ও বাতিল করতে হবে। এবং যাত্রীকল্যাণে অন্যান্য যা যা করা দরকার তা দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।