বয়সসীমা লঙ্ঘিত হওয়ায় ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রথম শ্রেণিতে ১৬৯ ছাত্রীর ভর্তি বাতিল করতে হাইকোর্টের নির্দেশ এখনো বান্তবায়ন করেনি প্রতিষ্ঠানটি। ১৬৯ ছাত্রীর অভিভাবকদের অভিযোগ, কয়েকমাস পার হলেও শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ। ফলে সেশন পার হয়ে যাওয়ায় সন্তানের শিক্ষাজীবন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের মূল ক্যাম্পাসের সামনে এক প্রতিবাদ কর্মসূচিতে এসব কথা জানান অভিভাবকেরা। তারা জানান, ভিকারুননিসার অধ্যক্ষ বারবার আশ্বাস দিয়েও তাদের সন্তানদের ভর্তি নিচ্ছে না।
এর আগে, বয়সসীমা লঙ্ঘিত হওয়ায় ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রথম শ্রেণিতে ১৬৯ ছাত্রীর ভর্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত বহাল রেখে হাইকোর্টের দেয়া রায়ের বিরুদ্ধে করা লিভ টু আপিল খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ। ফলে ১৬৯ ছাত্রীর ভর্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত বহাল রেখে হাইকোর্টের দেয়া রায় বহাল থাকে। হাইকোর্টের রায় অনুসারে, ১৬৯ ছাত্রীর শূন্য আসনে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ছাত্রীর ভর্তিতে স্কুল কর্তৃপক্ষের আইনগত কোনো বাধা নেই।
উল্লেখ্য, নির্দিষ্ট বয়সসীমার বাইরে অনিয়মতান্ত্রিকভাবে লটারিতে উত্তীর্ণ ছাত্রীর ভর্তি নিয়ে অভিযোগ তুলে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি-ইচ্ছুক দুই ছাত্রীর অভিভাবক প্রথমে একটি রিট করেন। এর প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ২৩ জানুয়ারি হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন। এর ধারাবাহিকতায় প্রথম শ্রেণিতে বিধিবহির্ভূতভাবে ১৬৯ ছাত্রীর ভর্তি বাতিল করতে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি এক স্মারকে মাধ্যমিক উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) নির্দেশনা দেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে প্রথম শ্রেণির ১৬৯ ছাত্রীর ভর্তি বাতিল করে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ। ছাত্রীদের ভর্তি বাতিল করার বিষয়টি জানিয়ে মাউশিতে গত ৪ মার্চ চিঠি পাঠায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি।