ভুল এড়াতে পরীক্ষক-প্রশ্নকর্তাদের তথ্য সংরক্ষণ করবে পিএসসি

নিজস্ব প্রতিবেদক |

সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) এখন থেকে পরীক্ষক ও প্রশ্নকর্তাদের কাজের তথ্য ডিজিটালি সংরক্ষণ করবে। যাতে খাতা দেখা বা প্রশ্নপত্র তৈরি করার ক্ষেত্রে তাঁদের কর্মদক্ষতার মূল্যায়ন যথাযথ ও সহজ হয়। পিএসসি বলছে, কোনো পরীক্ষক বা প্রশ্নকর্তার কাজের মান সন্তোষজনক না হলে তাঁকে আর কাজ দেওয়া হবে না।

পিএসসির একাধিক সূত্র জানায়, ৪১তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ নিয়ে জটিলতায় পড়েছে পিএসসি। অনুসন্ধানে দেখা যায়, ৩১৮ জন পরীক্ষকের ‘ভুলের’ কারণে ফল প্রকাশে দেরি হচ্ছে। এ পটভূমিতে পরীক্ষকদের তথ্য ডিজিটালি সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত নেয় পিএসসির বিশেষজ্ঞ দল।

সম্প্রতি ৪৩তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার খাতা ৮০৯ জন পরীক্ষককে দেওয়া হয়েছে। তাঁদের দিয়েই শুরু হচ্ছে ডিজিটাল তথ্য সংরক্ষণের কার্যক্রম। সূত্রমতে, পরীক্ষকদের পাশাপাশি প্রশ্নকর্তাদের তথ্যও সংরক্ষণের সুপারিশ করা হয়েছে।

ডিজিটালি কী ধরনের তথ্য সংরক্ষণ করা হবে, জানতে চাইলে পিএসসির একজন সদস্য বলেন, ৪১তম বিসিএসে যে ৮১৩ জন পরীক্ষক খাতা পেলেন, তাঁদের নাম, মুঠোফোন নম্বর, খাতা দেওয়ার তারিখ ও জমা দেওয়ার তারিখ থাকবে। খাতা জমা দেওয়ার সময় তথ্যভান্ডারে থাকা তারিখ মিলিয়ে দেখা হবে—তাঁরা সঠিক সময়ে খাতা দিলেন নাকি দেরিতে দিলেন। আগে দিলে তা-ও লিখে রাখা হবে। তিনি বলেন, এসব তথ্যের পাশাপাশি পরীক্ষকেরা খাতা দেখায় কোনো ভুল করলেন কি না বা নম্বর দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো গরমিল করলেন কি না—এসব তথ্যও রাখা হবে। পরে এসব তথ্য মূল্যায়ন করে ওই পরীক্ষককে খাতা দেওয়া হবে কি না, সে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ধীরে ধীরে সব পরীক্ষক ও প্রশ্নকর্তার তথ্যই তথ্যভান্ডারে যুক্ত করা হবে বলে জানান তিনি। 

জানতে চাইলে পিএসসির চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন বলেন, ‘৪১তম বিসিএস আমাদের জন্য বড় এক শিক্ষা। এতে পরীক্ষকদের এত ভুল ও অসংগতি ধরা পড়ছে, যা আমাদের অবাক করছে। এ কারণে আমরা ৪১তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফল এখনো দিতে পারিনি। এখন থেকে পরীক্ষক ও প্রশ্নকর্তাদের সব তথ্য ডিজিটাল করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। আশা করি, সবাই এর সুফল পাবেন।’


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা - dainik shiksha সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন - dainik shiksha জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো - dainik shiksha ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা - dainik shiksha তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণ ও ‘বিশ্ব বই দিবস’ - dainik shiksha স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণ ও ‘বিশ্ব বই দিবস’ শিক্ষার মান পতনে ডক্টরেট লেখা বন্ধ জার্মান পাসপোর্টে - dainik shiksha শিক্ষার মান পতনে ডক্টরেট লেখা বন্ধ জার্মান পাসপোর্টে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0051469802856445