ভুল সেটে পাবলিক পরীক্ষা নেয়ায় বন্ধ হয়ে গেছে এক প্রধান শিক্ষকেরএমপিও। ২০২২ খ্রিষ্টাব্দের এসএসসিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার নবীনগর সরকারি পাইলট কেন্দ্রে ভুল সেটে বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষা নেয় হয়। ভুল সেটে পরীক্ষা নেয়ায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর ওই কেন্দ্রের সচিব ও স্কুলটির প্রধান শিক্ষক আবু মুছার এমপিও বন্ধ করে দিয়েছে। প্রধান শিক্ষক আবু মুছা নিজেই দৈনিক আমাদের বার্তাকে এমপিও বন্ধ হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। কিন্তু একই কেন্দ্রে ভুল সেটে পরীক্ষা নেয়ায় দায়িত্বপ্রাপ্ত ট্যাগ অফিসার ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মোকাররম হোসেনে ক্ষমা করেছিলো মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। তাকে অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে সতর্ক করা হয়েছিলো।
জানা যায়, গত ১৫ সেপ্টেম্বর ছিলো এসএসসির বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষা। ওই পরীক্ষায় কুমিল্লা বোর্ডের নবীনগর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের ট্যাগ অফিসারের দায়িত্বে ছিলেন নবীনগর উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোকাররম হোসেন ও কেন্দ্রসচিব ছিলেন প্রধান শিক্ষক আবু মুছা। প্রশ্ন কেন্দ্রে-কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়ার সময় ট্যাগ অফিসার উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও তিনি উপস্থিত ছিলেন না। ওই দিন নবীনগর সরকারি পাইলট উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীদের ৪ নম্বর সেটে পরীক্ষা নেয়ার নির্দেশনা ছিলো। কিন্তু ২ নম্বর সেটে পরীক্ষা নেয়া হয়। পরে বিষয়টি সংশ্লিষ্টদের নজরে আসে এবং অভিযুক্ত শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়।
এদিকে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর গত ১ ফেব্রুয়ারি স্কুল-কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীদের জানুয়ারি মাসের এমপিওর চেক ছাড় করে। ওই প্রতিষ্ঠানটির এমপিওর শিট পর্যালোচনা করে দেখে যায় প্রধান শিক্ষক আবু মুছার এমপিও বাবদ টাকা আসেনি। তার এমপিও বন্ধ করা হয়েছে।
অন্যদিকে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর গত ১৭ জানুয়ারি একই কেন্দ্রে ভুল সেটে পরীক্ষা নেয়া শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মোকাররম হোসেনকে ক্ষমা করে অধিদপ্তরের প্রশাসন শাখার উপ-পরিচালক বিপুল চন্দ্র বিশ্বাস স্বাক্ষরিত এক আদেশে তাকে সতর্ক করা হয়।
সংশ্লিষ্টদের মতে, পাবলিক পরীক্ষায় দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগে শাস্তির বিধান রয়েছে। কিন্তু ওই শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নিয়ে শুধু সতর্ক করেই দায় এড়িয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। কেউ কেউ ধারণা করছেন এ ঘটনায় ঘুষ লেনদেন হয়েছে।এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক আবু মুছা দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, ভুল সেটে এসএসসি পরীক্ষা নিয়েছিলাম। ওই কারণে বেতন বন্ধ করা হয়েছে। এসময় তিনি বিষয়টি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, এ নিয়ে লেখালেখি করলে আমার একটু সমস্যা হবে।