রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে ভেজাল মদপান করে জয় কুমার বিশ্বাস (১৭) নামে এক কলেজছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় অসুস্থ হয়ে আরো দুইজন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে বালিয়াকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জামাল উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
নিহত জয় কুমার বিশ্বাস উপজেলার সোনাপুর মাঝিপাড়া এলাকার বিধান কুমার বিশ্বাসের ছেলে। সে সোনাপুর মীর মোশাররফ হোসেন ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি পরিক্ষার্থী ছিল। অসুস্থতরা হলেন- মদন কুমার বিশ্বাস (৪০) ও তার ছেলে বিজয় কুমার বিশ্বাস (১৮)। তারা ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোনাপুর চন্দনা সার্বজনীন দুর্গা মন্দির কমিটির কয়েকজন প্রতিমা বিসর্জন উপলক্ষ্যে অতিরিক্ত পরিমাণে ভেজাল মদপান করেন। এদের মধ্যে একজন রাতেই বাড়িতে মারা যায়। আরও দুইজন অসুস্থ হলে তাদের ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তারা এখন সুস্থ আছেন।
স্থানীয় তন্ময় কুমার বিশ্বাস বলেন, পূজা উপলক্ষ্যে মদের অতিরিক্ত চাহিদা থাকে। এ সময় অতিরিক্ত মুনাফার আশায় মাদক ব্যবসায়ীরা ভেজাল মদ বিক্রি করেন। আমাদের এখানে অনেকই ভেজাল মদ পান করে অসুস্থ হয়। এদের মধ্যে জয় নামে এক জনের মৃত্যু হয়েছে। আরও দুইজন অসুস্থ অবস্থায় ফরিদপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
সোনাপুর বাজারে পল্লি চিকিৎসক নীরোদ বরণ বিশ্বাস বলেন, জয় নামে একটি ছেলে অসুস্থ বলে আমাকে ডেকে নিয়ে যায়। তারা আমাকে প্রথমে বলেছিল কয়েক দিন উপবাস থাকার কারণে গ্যাসের সমস্যা হইছে। আমি স্যালাইন-ওষুধ দিয়ে চলে আসি। রাত ১টার দিকে জয়কে পরিবারের লোকজন আমার বাড়ির সামনে ইজিবাইকে করে নিয়ে আসে। তখন তারা স্বীকার করে মদ পান করেছে। আমি চেকআপ করে দেখি সে মারা গেছে। তাদেরকে বিষয়টি বললে তারা মরদেহ বাড়ি নিয়ে যায়।
জয়ের বাবা বিধান কুমার বিশ্বাস মদপানের বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, আমার ছেলে কখনো এসব পান করতো না। পূজায় উপবাস থাকার কারণে পেটে অতিরিক্ত গ্যাস হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে।
নবাবপুর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য পলাশ কর বলেন, মদন কুমার বিশ্বাস ও তার ছেলে বিজয় কুমার বিশ্বাস মদপানের কারণে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। জয় নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
বালিয়াকান্দি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জামাল উদ্দিন বলেন, সোনাপুরে কয়েকজন পূজা উপলক্ষ্যে মদ পান করলে একজনের মৃত্যু হয়েছে। আরও দুইজন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।