আগের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো আগামী নির্বাচনেও বেসামরিক প্রশাসনকে সহযোগিতা দিতে সেনা মোতায়েনের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আনিছুর রহমান।
তিনি বলেছেন, কেউ নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নির্বাচনে অংশ নেওয়া-না নেওয়ার এখতিয়ার সবার আছে। তবে নির্বাচন বানচাল করা বা অন্যকে নির্বাচন করতে না দেয়ার অধিকার আইন কাউকে দেয়নি। এ রকম কেউ করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কারণ, নির্বাচন না করার অধিকার তাদের একক কিংবা দলীয় সিদ্ধান্ত। তাই কাউকে বাধা দেয়া যাবে না।
রোববার সকালে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে আয়োজিত সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি নির্বাচনে এলে তপশিল পুনর্বিবেচনা করা হবে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে আনিছুর রহমান বলেন, আমরা এখনও কারও কাছ থেকে কোনো আবেদন পাইনি। যদি কেউ নির্বাচনে আসে বা নির্বাচনের সময় নিয়ে যদি কারও কথা থাকে, তবে সে ক্ষেত্রে আমরা বিবেচনা করব। সেই বিবেচনা করার মতো যথেষ্ট সময় আমাদের আছে।
তিনি আরও বলেন, ছোট-বড় বিভিন্ন দল এরই মধ্যে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছে। তাতে মনে হচ্ছে, এবারের নির্বাচনে অনেকেই মাঠে থাকবেন এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। এই নির্বাচন বিশ্ববাসীও দেখছে। কাজেই নির্বাচন গ্রহণযোগ্য করার কোনো বিকল্প নেই। যে কোনো মূল্যে তা গ্রহণযোগ্য করতে হবে।
নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকালে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার কেউ পক্ষপাতমূলক আচরণ করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ার করেন এ নির্বাচন কমিশনার।
তিনি বলেন, সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে কোনো ছাড় দেয়া হবে না। পক্ষপাতমূলক আচরণ ও শৈথিল্য দেখানো যাবে না।
কেন্দ্রে ভোটার আনার দায়িত্ব কমিশনের নয় বলে আবারও সাফ জানিয়ে দেন আনিছুর রহমান। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যারা নির্বাচন করবেন- সেই প্রার্থী, দল, সমর্থক বা তার নেতাকর্মীকে এটা করতে হবে। তবে ভোটারদের কোথাও ভয়ভীতি দেখানো হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নেবে।