দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক : বিএনপি ভোটে না আসায় ‘স্বস্তি-অস্বস্তির’ প্রসঙ্গে না গিয়ে সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের দিকেই এখন নজর প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের। তবে বিএনপির ভোটে এলে ভালো হত বলে মনে করেন তিনি। সোমবার নির্বাচন ভবনে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরির সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন সিইসি।
এবারের নির্বাচন পর্যবেক্ষণে জাপান একটি দল পাঠাবে জানিয়ে তিনি বলেন, তাদের কিছু সদস্য আসবেন জাপান থেকে, বাংলাদেশে জাপান অ্যাম্বাসি থেকে স্টাফরাও অবজারভার হিসেবে কাজ করবেন।
সিইসি বলেন, তারা আমাদের নির্বাচনটাকে খুব গুরুত্ব দিচ্ছে। সেজন্য ওরা অবজার্ভ করতে চাচ্ছে। আমরা তাদেরকে থ্যাঙ্কস দিয়েছি। তারা আরো বিস্তারিত জানতে চেয়েছে। মনোনয়নপত্র জমা, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর আমরা তাদেরকে নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে সর্বশেষ অবস্থা জানিয়েছি।
আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টিসহ ২৮ দল অংশ নিচ্ছে। এসব দল ও স্বতন্ত্র মিলিয়ে ভোটে অংশ নিচ্ছেন ১৮৯৬ জন প্রার্থী। বিএনপিসহ ১৫টি দল ভোটে আসেনি।
এমন পরিস্থিতিতে বিএনপি ছাড়া ভোট আয়োজনে স্বস্তিবোধ করছেন কী-না জানতে চাইলে সিইসি বলেন, অস্বস্তি বা স্বস্তি কোনটিই আমার মধ্যে নেই। আমার দায়িত্বটা হচ্ছে নির্বাচনটা যেভাবে করতে হয় আমরা নির্বাচন কমিশন সরকারের সহায়তা নিয়ে অর্থাৎ পুলিশ, প্রশাসন সকলের সহায়তা নিয়ে নির্বাচনটা করতে চাচ্ছি। আমার ব্যক্তিগত স্বস্তি, অস্বস্তিটা তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়। তবে এটা ঠিক যে, নির্বাচনে একটি গুরুত্বপূর্ণ দল তারা পার্টিসিপেট করছে না। পার্টিসিপেট করলে অনেক ভালো হতো। আপনারা জানেন, আমরা প্রথম থেকেই তাদেরকে আহ্বান জানিয়েছিলাম যে, আপনারা অংশগ্রহণ করুন। তারা সাড়া দেননি।
আরেক প্রশ্নে তিনি বলেন, যেটা আগে বলেছি- (বিএনপি) অংশগ্রহণ করলে নির্বাচনটা আরো বেশি ইনক্লুসিভ ও পার্টিসিপেটরি হবে। এখন না নিলে কি হতো, হবে- সে বিষয়ে আমি যাচ্ছি না। অংশ নিলে ভালো হতো, এটা সকলেই ফিল করে। বিএনপি ছাড়া ভোটের গ্রহণযোগ্যতার বিষয়টি পরে দেখা যাবে।
জাতীয়, আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্যতার জন্য এটি সমস্যা হবে কী-না জানতে চাইলে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, আমি সেই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করবো না। সেটি নির্বাচনের পরে দেখা যাবে।
বিদেশিদের ‘চাপ-থাবা’ এখনো রয়েছে কী-না জানতে চাইলে কিছুটা বিরক্তি নিয়ে তিনি বলেন, বারবার একটি শব্দ শুনি চাপ, চাপ, চাপ। যেটা হল সব দেশ আমাদের নির্বাচন সম্পর্কে খোঁজ খবর নিচ্ছে। আমাদের ডোনার কান্ট্রিজগুলো দেখতে চাচ্ছে নির্বাচন। সেটাকে চাপ বলেন বা এটা সেন্সেটাইজেশন বলেন, ওরা যে দৌঁড়ঝাপগুলো করছে আমরা দেখেছি এবং যার ফলে সরকারও বারবার বলেছে যে, নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু হবে। আমাদের তরফ থেকেও আমরা বলেছি যে, নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু হবে। আন্তর্জাতিকভাবেও নির্বাচনটা সুন্দর হোক, সুষ্ঠু হোক সকলের কাছে, বহির্বিশ্বেও নির্বাচনটা একটা ভালো গ্রহণযোগ্যতা পাক, সেই প্রত্যাশা সবার মতো আমাদেরও আছে।
যারা নির্বাচনে আসছে না তারা তো প্রতিরোধেরও ঘোষণা দিয়েছে- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, সেটা দেখা যাক, প্রতিহত যদি উনারা করতে চান সেটা উনাদের ব্যাপার; পলিটিক্যাল স্ট্র্যাটিজি। সেটার ব্যাপারে আমরা কোনো বক্তব্য দেবো না। আমরা চাইবো ইলেকশনটা পিসফুলি হোক।