সৌদি আরবের পবিত্র মক্কায় ৪৩তম বাদশাহ আব্দুল আজিজ আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন ও তাফসির প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিযোগিতায় দুই বাংলাদেশি হাফেজ নিজ নিজ গ্রুপে তৃতীয় ও চতুর্থ স্থান অর্জন করেছেন। প্রতিযোগিতায় ১১৭টি দেশের ১৬৬ জন হাফেজ অংশ নেয়।
গতকাল বুধবার রাতে মসজিদে হারামের নতুন সম্প্রসারিত অংশে বর্ণাঢ্য এক অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজের পক্ষ থেকে পুরস্কারের অর্থ ও সম্মাননা সনদ তুলে দেন মক্কা মোকাররমার গভর্নর শায়খ বান্দার বিন সুলতান বিন আবদুল আজিজ ও সৌদি আরবের ধর্ম মন্ত্রী শায়খ ড. আব্দুল লতীফ।
প্রতিযোগিতায় তাজবিদসহ সুন্দর কণ্ঠে পূর্ণ কোরআন হিফজ গ্রুপে তৃতীয় স্থান অর্জন করেছেন হাফেজ ফয়সাল আহমদ। পুরস্কার হিসেবে তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৮০ হাজার সৌদি রিয়াল (প্রায় ৫২ লাখ টাকা), সম্মাননা সনদ ও ক্রেস্ট।
প্রতিযোগিতায় তাজবিদসহ ১৫ পারা হিফজ গ্রুপে অংশ নেওয়া অপর প্রতিযোগী হাফেজ মো. মুশফিকুর রহমান চতুর্থ স্থান লাভ করেছেন। তিনি পুরস্কার হিসেবে পেয়েছেন ১ লাখ ২০ হাজার সৌদি রিয়াল (৩৪ লাখ ৬০ হাজার টাকা) সম্মাননা সনদ ও ক্রেস্ট।
হাফেজ ফয়সাল আহমদ রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। ইতোমধ্যে তিনি আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় সাফল্য অর্জন করে মেধার স্বাক্ষর রেখেছে। সর্বশেষ চলতি বছরের মার্চ মাসে লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় স্থান লাভ করে সে।
গত ২৫ আগস্ট সৌদি আরবের ইসলাম ও দাওয়াহ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে মক্কায় ৪৩তম আন্তর্জাতিক এ প্রতিযোগিতা শুরু হয়। প্রতিযোগিতার পাঁচ ক্যাটাগরিতে বিজয়ীরা পাবেন সর্বমোট ৪০ লাখ সৌদি রিয়াল পুরস্কার।
গত বছর (২০২২) এই প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ থেকে হাফেজ সালেহ আহমদ তাকরীম অংশ নিয়ে তৃতীয় স্থান অর্জন করেন। বিজয়ী হিসেবে তিনি এক লাখ রিয়াল (প্রায় সাড়ে ২৭ লাখ টাকা) পুরস্কার ও সম্মাননা ক্রেস্ট লাভ করেন। এর আগে এই প্রতিযোগিতায় ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দে ৭০টি দেশের মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন করেন হাফেজ নাজমুস সাকিব। ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দে ৭৩টি দেশের মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন করেন হাফেজ আবদুল্লাহ আল মামুন।