ঝালকাঠিতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মধ্যরাতে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের হামলা-ভাঙচুরে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে। আটক করা হয়েছে উভয়পক্ষের ৮ জনকে।
সদর থানার ওসি নাসির উদ্দিন সরকার দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে শহরের লঞ্চঘাট এলাকার দুই পরিবারের বিবাদ মিমাংসা জন্য জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খান সাইফুল্লাহ পনির শহরের স্টেশন রোডের নিজ অফিসে কক্ষে উভয়পক্ষকে নিয়ে সালিশে বসেন। এক পর্যায় পৌর আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল হক খলিফা ও জেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম পারভেজের সমর্থকদের মধ্যে কথা কাটাকাটির সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে তা মারামারিতে রূপ নেয়। এসময় জেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম পারভেজের সেজো ভাই রফিকুল ইসলাম রুবেল গুরুতর আহত হন। ওই মারামারিতে আহত হন জেলা আওমামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ঝালকাঠি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খান সাইফুল্লাহ পনির।
ওসি আরো জানান, ওই মারামারির জের ধরে মধ্যরাতে শহরের লঞ্চঘাট এলাকায় উভয় গ্রুপের কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়িঘরে হামলা চলে। মুখোমুখি হয় উভয়পক্ষ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে। এসময় উভয়পক্ষের ৮ জনকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি জানিয়ে সদর থানার ওসি জানান, আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের রেজিস্টারে আহত ৪ জনের নাম পাওয়া গেছে। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল যাদের বরিশালে পাঠানো হয়েছে। তারা হলেন, রাকিবুল ইসলাম রুবেল (৪০), রাজিব হোসেন (৩২), আব্দুলা (১৭), ফারদিন আহমেদ (২৫)।
জানতে চাইলে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ঝালকাঠি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খান সাইফুল্লাহ পনির দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, হাতাহাতির সময় টেবিলের গ্লাস ভেঙে আমি সামান্য ব্যথা পেয়েছি। তবে মারামারি হয় বাইরে। বিষয়টি রাজনৈতিক নয় দাবি করে তিনি আরো বলেন, স্থানীয় পর্যায়ের মনোমালিন্য নিয়ে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
জানতে চাইলে ঝালকাঠি পৌর আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল হক খলিফা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, সামান্য ঘটনা নিয়ে কথা কাটাকাটির পর প্রথমে দুই গ্রুপেই মারামারি হয়। পরে প্রতিপক্ষের লোকজন আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ আশপাশের দোকানপাটে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে।
জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম পারভেজ দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ঘটনার সময় আমি ঝালকাঠিতে ছিলাম না। ওই সালিশেও থাকতে পারিনি। আমার ভাইকে গুরুতর আহত করা হয়েছে। তাকে নিয়ে পরিবারের অন্য সদস্যরা ব্যস্ত ছিলেন। আমি বা আমাদের পক্ষে কোনো প্রকার হামলা করা সম্ভব ছিলো না।