জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরাপদ ক্যাম্পাস নিশ্চিত এবং মোটরসাইকেল ও অটোরিকশার গতি নিয়ন্ত্রণ করাসহ চারদফা দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ সময় মিছিলে ছাত্রলীগ বাধা দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলমের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা।
তাদের দাবিগুলো হলো- আহত শিক্ষার্থীর চিকিৎসা ও শিক্ষার ব্যয়ভার প্রশাসনকে বহন করতে হবে, মোটরসাইকেল চালকের শাস্তি নিশ্চিত করা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোর সামনে গতি নিরোধক নির্মাণ করতে হবে।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাওলানা ভাসানী হল সংলগ্ন সড়কে সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের প্রথম বর্ষের (৫১ ব্যাচ) জাহিদ হাসান নামে এক শিক্ষার্থী দর্শন বিভাগের স্নাতকোত্তর (৪৫ ব্যাচ) শিক্ষার্থী ফেরদৌস মাহমুদ নিওনের বাইকের ধাক্কায় গুরুতর আহত হন। বর্তমানে তাকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে। তার প্রেক্ষিতে নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবিতে বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে উপাচার্যের বাসভবনের দিকে অগ্রসর হতে থাকেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের চৌরঙ্গী সংলগ্ন এলাকায় ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেল ও সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটন মিছিলে বাধা প্রদান করলে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের একটি অংশ হলে ফিরে যান বলে অভিযোগ করেছে শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান বলেন, আমি আহত শিক্ষার্থীকে দেখতে হাসপাতালের গিয়েছিলাম। তার অবস্থা এখনো শঙ্কামুক্ত নয়। আহত শিক্ষার্থীর চিকিৎসার দায়ভার বিশ্ববিদ্যালয় বহন করবে। শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে আমরা সম্পূর্ণ একমত পোষণ করছি।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে উপাচার্য নুরূল আলম বলেন, আহত শিক্ষার্থীর সকল চিকিৎসার দায়ভার বিশ্ববিদ্যালয় গ্রহণ করবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যমান আইনে ৭ কর্মদিবসের মধ্যে আমরা চালকের বিচার নিশ্চিত করব। বাইক, অটোরিকশার গতি নিয়ন্ত্রণে নিরাপত্তা কর্মীদের নির্দেশ করব। ঝুকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত করে স্পিড ব্রেকার নির্মাণ করা হবে।