বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি) ও বিএম (ব্রজমোহন) কলেজের শিক্ষার্থীদের দফায় দফায় সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় বরিশাল নগরী। সাংবাদিক, বাস চালক ও শিক্ষার্থীসহ কমপক্ষে ২৫ জনকে আহত অবস্থায় শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে ৯ জনের অবস্থা আশংকাজনক।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে এ ঘটনা ঘটে। বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান দৈনিক শিক্ষা ডটকমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বুধবার রাত ৩ টার দিকে তিনি জানান, গত সোমবার বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর জমি সংক্রান্ত ঝামেলায় হস্তক্ষেপ করে বিএম কলেজের শিক্ষার্থীরা। ঔ ঘটনায় সেদিন কলেজটির একাধিক শিক্ষার্থীর ওপর হামলা করে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কতিপয় শিক্ষার্থী।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার রাত ৮ টার দিকে চাঁদাবাজির অভিযোগ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ শিক্ষার্থীকে আটক করে নগরীর বটতলা পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যায় বিএম কলেজের শিক্ষার্থীরা। তারা হলেন পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের রাফিন কায়সার এবং মৃত্তিকা ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী ইমন খান।
খবর পেয়ে আটককৃতদের ছাড়াতে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কয়েকশো শিক্ষার্থী সেখানে গেলে প্রথম দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বাসে ভাঙচুর করা হয়। পরবর্তীতে নগরীর নতুনবাজার, নথুল্লাবাদ, আমীর কুটিরসহ কয়েকটি স্থানে বিচ্ছিন্নভাবে সংঘর্ষের ঘটনায় দুই পক্ষের অনেকে হতাহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নগরীজুড়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশের টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।