ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে ১৩ ছাত্রলীগ নেতার ইর্ন্টান প্রশিক্ষন স্থগিত করেছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারিদের দাবির প্রেক্ষিতে এই স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়।
গতকাল বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৩টায় মমেক হাসপাতালের পরিচালক ও ডিসিপ্লিনারী কমিটির সভাপতি ব্রিগেডিয়ার জেনালের মো. গোলাম ফেরদৌস স্বাক্ষরিত এক আদেশে এই স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়।
একই সঙ্গে অভিযুক্তদেরকে আগামী পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে স্বশরীরে হাজির হয়ে অভিযোগ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
নোটিশে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে সরাসরি অবস্থান গ্রহন, আন্দোলন বানচালের উদ্দেশ্যে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও চিকিৎসকদের হুমকি প্রদান, ভয়ভীতি প্রদর্শন, বিগত স্বৈরাচারি সরকারের অপরাজনীতিতে সক্রিয় অংশ গ্রহন, সাধারন শিক্ষার্থী ও চিকিৎসকদের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন, ক্যাম্পাস ও তৎসংলগ্ন এলাকায় চাঁদাবাজি, হোস্টেলে মাদক বাণিজ্য ও মাদক সেবন ইত্যাদি অপরাধে হাসপাতালের ডিসিপ্লিনারী কমিটির এক জরুরী সভায় পরবর্তী সিন্ধান্ত গ্রহন না করা পর্যন্ত অভিযুক্তদের ইর্ন্টানি প্রশিক্ষন স্থগিত করা হল।
ইর্ন্টানি প্রশিক্ষন স্থগিত হওয়া ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা হল- ডা: প্রতীক বিশ্বাস, লতিফুল কবির কৌশিক, সুনীতি কুমার, শামীম রেজা, নাইমুর রশীদ, মেহেদী হাসান রোমান, এটিবি রুবেল, ফায়াদুর রহমান আকাশ, কামরুল হাসান, আবু রায়হান, সাখাওয়াত হোসেন সিফাত, অর্নব কুন্ড এবং কাশফি তাবরিজ। তারা সবাই মমেক কলেজ ছাত্রলীগের সক্রিয় নেতাকর্মী বলে জানা গেছে।
এর আগে সকালে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন করা একদল শিক্ষার্থী অভিযুক্তদের শাস্তি দাবি করে হাসপাতালের পরিচালকের কাছে যায়। এ সময় অভিযুক্তসহ ছাত্রলীগ সমর্থিত অপর একটি দল সেখানে উপস্থিত হয়ে হট্টগোল শুরু করে। এতে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় ঘটনার খবর পেয়ে সেনা সদস্য, র্যাব, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ আব্দুর রহিম খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।