প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সারাদেশের মডেল মসজিদগুলো ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হবে। যেন ভবিষ্যতে কেউ আর এসব মসজিদের ক্ষতি করতে না পারে। যেন সরকার পরিবর্তন হওয়ার সাথে সাথে আবারও মসজিদে কেউ হাত দিতে না পারে।
রোববার (৩০ জুলাই) পঞ্চম পর্যায়ে নির্মিত ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
ইসলামের সঠিক বাণী মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পদাঙ্ক অনুসরণের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাদেশে ৫৬৪টি মডেল মসজিদ নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছেন।
রোববার সকালে আরও ৫০টি মডেল মসজিদ উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাঁচ ধাপে এ পর্যন্ত ২৫০টি মডেল মসজিদ উদ্বোধন করলেন।
এর আগে ২০২১ সালের ১০ জুন প্রথম ধাপে ৫০টি, ২০২৩ সালের ১৬ জানুয়ারি দ্বিতীয় ধাপে ৫০টি, ১৬ মার্চ তৃতীয় ধাপে ৫০টি এবং ১৭ এপ্রিল চতুর্থ ৫০টি মডেল মসজিদ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, নির্মিত মডেল মসজিদ এবং ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রগুলোতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থাসহ ওজু ও নামাজের জন্য আলাদা জায়গা রয়েছে।
এছাড়া মসজিদে হজযাত্রীদের নিবন্ধন ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, ইমাম প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, গবেষণা কেন্দ্র ও ইসলামিক লাইব্রেরি, অটিজম কর্নার, দাফনের আগে আচার ব্যবস্থা, গাড়ি পার্কিং সুবিধা, হিফজখানা, প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা ও কোরআন শিক্ষার ব্যবস্থা ও ইসলামিক কনফারেন্স রুম থাকবে। সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড এবং ইসলামী দাওয়াত, ইসলামী বই বিক্রয় কেন্দ্র, মসজিদের সাথে দেশি-বিদেশি অতিথিদের জন্য বোর্ডিং সুবিধাও থাকবে মসজিদগুলোতে।