ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে মহানবী হযরত মুহাম্মদকে (স.) নিয়ে কটূক্তি করায় কলেজছাত্র হৃদয় পালের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ মিছিল করেছে তাওহিদী মুসলিম জনতা। মঙ্গলবার সকালে উপজেলার সাতৈর ইউনিয়নের কাদিরদী কলেজে সামনে এ বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ মিছিল করেন তারা। এ সময় তারা হৃদয় পালের ফাঁসির দাবি জানান।
এর আগে গত সোমবার মহানবী হযরত মুহাম্মদকে (স.) নিয়ে কটূক্তি করার অপরাধে হৃদয় পালকে কাদিরদী কলেজের শিক্ষার্থী ও স্থানীয় মাদরাসার ছাত্র-জনতা অবরুদ্ধ করে রাখে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ও সাতৈর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাফিউল আলম মিন্টু পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন। পরে কলেজ কর্তৃপক্ষ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তানভীর হাসান চৌধুরী, থানার ওসি গোলাম রসুল ও সেনাবাহিনীকে খবর দেয়। ঘটনাস্থলে গিয়ে সেনাবাহিনী হৃদয় পালকে কৌশলে বের করে নিয়ে যায়।
বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ মিছিলে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন, কাদিরদী কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সহ সভাপতি খন্দকার নাসিরুল ইসলাম নাসির। এ সময় তিনি বলেন, আমি প্রশাসনকে বলেছি, হৃদয় পালকে আইনের সর্বোচ্চ সাজার আওতায় আনতে হবে। সেইসঙ্গে আজকে তাকে কলেজ থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। এ সময় তিনি এই কলেজের শিক্ষক মো. মজিবর রহমানকে ইসকন সংগঠনের সদস্য বলে দাবি করেন। তাকেও এই কলেজ থেকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্তের কথা জানান তিনি।
কলেজের শিক্ষক মো. মজিবর রহমান বলেন, আমি প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করি। আমি মুসলিম তবে আমাকে হিন্দুদের ইসকন সংগঠনের ট্যাগ লাগিয়ে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করা হচ্ছে। এর তীব্র নিন্দা জানাই। অন্যান্য শিক্ষকদের মতো ওইদিন আমি উত্তেজিত জনতাদের শান্ত করার চেষ্টা করেছি। যেনো কোনো প্রকার আইনশৃঙ্খলার ব্যত্যয় না ঘটে।
অন্যান্যদের মধ্যে এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাতৈর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও কাদিরদী কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সদস্য রাফিউল আলম মিন্টু, সাতৈর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুল মান্নাফ মুন্সি, উপজেলা যুবদলের যুগ্মআহবায়ক জুয়েল শেখ, বিএনপি নেতা ফারুক মোল্লা, আনিস মোল্লা, মুঞ্জুর বিশ্বাসসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানের ওলামা মাশায়েখ ও স্থানীয় মুসলিম জনতা।