নওগাঁয় মাদক ব্যবসায়ীকে পালাতে সহযোগিতা করায় ভীমপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আতাউল হকসহ (৪৫) একই বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী কালাম হোসেন ও নৈশ প্রহরী জাহাঙ্গীর আলীকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশ। গতকাল বুধবার বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে হাঁসাইগাড়ী ইউনিয়নের ওই বিদ্যালয় থেকে তাদের আটক করা হয়।
স্থানীয় ও ডিবি পুলিশ সূত্রে জানা যায়, এখন বিদ্যালয় চালু থাকলেও শিক্ষার্থী ছিল না। শুধু শিক্ষকরা ছিলেন। বিদ্যালয়ের পশ্চিম পাশে একটি পরিত্যক্ত ভবনের কক্ষে কায়েম উদ্দিনের ছেলে মাদক ব্যবসায়ী আলম হোসেন (৩০) মাদক বিক্রি করছিলেন। এসময় ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মহসিন রেজা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে গিয়ে আলম হোসেনকে আটক করার পর হ্যান্ডকাফ পরিয়ে সেখানে জব্দ সামগ্রীর তালিকা প্রস্তুত করছিলেন।
বিষয়টি জানার পর আলমের চাচাতো ভাই জাহাঙ্গীর, কালাম হোসেন ও প্রধান শিক্ষক আতোয়ার হোসেনসহ কয়েকজন সেখানে গিয়ে তাকে কৌশলে ছিনিয়ে নিয়ে ইউসুফ নামে একজনের মোটরসাইকেলে পালাতে সহযোগিতা করেন। পরে পুলিশ তাদের তিনজনকে আটকসহ ১০ গ্রাম হিরোইন উদ্ধার করে। ঘটনার পর বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে শত শত এলাকাবাসী ভিড় জমায়।
এই ঘটনায় নওগাঁ সদর থানায় প্রধান শিক্ষক আতাউল হক, কালাম হোসেন (২৬), জাহাঙ্গীর আলী (২৯), ইউসুফসহ (২২) পাঁচজনের নামে পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। একই ঘটনায় অজ্ঞাত আরও ৫-৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মহসিন রেজা দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে বলেন, মাদক ব্যবসায়ী আলম হোসেনকে আটক করে জব্দ তালিকা প্রস্তুতের সময় প্রধান শিক্ষক আতাউল হক, কালাম হোসেন, জাহাঙ্গীর আলীসহ ৫-৭ জন এসে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে ইউসুফের মোটরসাইকেলে করে হ্যান্ডকাফসহ পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেন। ঘটনার পর তাদের তিনজনকে আটক করা সম্ভব হলেও বাকি আসামিরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় আসামি ছিনতাই ও সরকারি কাজে বাঁধা দেওয়ায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। পলাতক আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
নওগাঁ গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ কেএম শামসুদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে দৈনিক শিক্ষা ডটকমকে বলেন, মাদক ব্যবসায়ীকে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করা ও সরকারি কাজে বাঁধা দেওয়ায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে।