বিচারের নামে ইউসুফিয়া রশিদিয়া হাফিজিয়া নুরানী মাদরাসার হেফজ শাখার ছাত্র রবিউল ইসলামকে (১২) প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি ও এক শিক্ষক মারধর করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। স্বজনরা আহত ছাত্রকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল বুধবার (৯ জুন) রাতে আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের উত্তর তক্তাবুনিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (১০ জুন) আমতলী থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন শিশুটির বাবা দুলাল ফকির। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক মো. মাহবুব আলম ও সভাপতি মো. আবুল চৌকিদার গা ঢাকা দিয়েছেন।
আরও পড়ুন : দৈনিক শিক্ষাডটকম পরিবারের প্রিন্ট পত্রিকা ‘দৈনিক আমাদের বার্তা’
অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার উত্তর তক্তাবুনিয়া গ্রামের দুলাল ফকিরের ছেলে মো. রবিউল ইসলাম একই গ্রামের ইউসুফিয়া রশিদিয়া হাফিজিয়া নুরানী মাদরাসায় হেফজ শাখায় লেখাপড়া করে। বুধবার সন্ধ্যায় সহপাঠী নাঈমের সাথে জুতা পায়ে দেয়া নিয়ে তার কথা কাটাকাটি হয়। এ বিষয়টি মাদরাসার শিক্ষক মো. মাহবুব আলমের কাছে অভিযোগ দেয়া হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শিক্ষক মাহবুব আলম ও মাদরাসার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মো. আবুল চৌকিদার রবিউলকে বিচারের নামে বাঁশের কাঞ্চি দিয়ে বেধরক মারধর করে জখম করেছে বলে অভিযোগ রবিউলের। খবর পেয়ে ওই রাতে স্বজনরা শিশু রবিউলকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
আহত শিক্ষার্থী রবিউল ইসলাম কান্না জড়িত কন্ঠে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, আমার সহপাঠী নাঈমের সাথে জুতা পায়ে দেয়া নিয়ে সামান্য কথা কাটিকাটি হয়। এ নিয়ে মাদরাসার সভাপতি আবুল চৌকিদার ও শিক্ষক মাহবুব আলম আমাকে লাঠি দিয়ে পিটিয়েছে। আমি তাদের হাতে পায়ে ধরেও রক্ষা পাইনি।
শিশুটির বাবা মো. দুলাল ফকির দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, রক্তাক্ত অবস্থায় আমার ছেলেকে মাদরাসা থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছি। এ বিষয় আমি থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। এ ঘটনার বিচার চাই।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব ও ফেসবুক পেইজটি ফলো করুন
মাদরাসার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আবুল চৌকিদার ও শিক্ষক মাহবুব আলম ছাত্র রবিউলকে বিচারের নামে মারধরের কথা অস্বীকার করে বলেন, কয়েকটি চর থাপ্পর দেওয়া হয়েছে।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. মিজানুর রহমান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, শিশু রবিউলের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে যথাযথ চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
আমতলী থানার ওসি মো. শাহ আলম হাওলাদার দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।