মাদরাসা- কারিগরি থেকে স্কুল-কলেজে আসা শিক্ষকদের জুলাই মাসের এমপিও আবেদনের সময় বেড়েছে ২৬ জুন পর্যন্ত। মাদরাসা অধিদপ্তরের এমইএমআইএস সফটওয়্যারে সমস্যার কারণে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে অধিদপ্তর।
সোমবার মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর এক চিঠির মাধ্যমে এ তথ্য জানায়।
জানা যায়, কারিগরি ও মাদরাসা থেকে স্কুল- কলেজে আসা শিক্ষকেরা সাধারণত প্রতি মাসে এমপিও আবেদন করেন। তবে অধিদপ্তরের নির্ধারিত সফটওয়্যারে সমস্যা হওয়ার কারণে জুলাই মাসের আবেদন করতে পারছিলেন না শিক্ষকেরা।
দৈনিক শিক্ষডটকমকে গতকাল রোববার দেশের নানা প্রান্ত থেকে শিক্ষকেরা জানান সমস্যা কেটে গেছে, আবেদন করতে পারছেন। কিন্তু সময় স্বল্পতার কারণে তড়িঘড়ি করে সবাই আবেদন করতে পারবেন না বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তারা।
এদিকে মাউশি অধিদপ্তর সূত্র জানায়, এমপিওভুক্ত স্কুল ও কলেজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যোগদান করে অনলাইনে এমইএমআইএস সিস্টেমের মাধ্যমে এমপিও আবেদনের সময় এপিআইয়ের মাধ্যমে শিক্ষকদের তাদের তথ্য মাদরাসা অধিদপ্তরের এমপিও ডাটাবেজ থেকে আপলোড হয়।
মাদরাসা অধিদপ্তরের এমইএমআইএস সফটওয়্যারের এপিআইয়ে সমস্যা হওয়ায় চলতি মাসে শিক্ষকরা ঠিক সময়ে আবেদন করতে পারেননি। শিক্ষকদের এমন সমস্যার কথা বিবেচনা করেই এবার সময় বাড়ানো হয়েছে।
এপিআইয়ের সমস্যার সমাধান করে এখন শিক্ষকদের অনলাইন এমপিও আবেদনের প্রক্রিয়া চালমান রয়েছে। তাই এমপিও আবেদনের সময় ৮ জুনের পরিবর্তে ২৬ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বদলির ব্যবস্থা না থাকায় এমপিও নীতিমালার একটি বিধান অনুসারে আবেদন করে কয়েকহাজার এমপিওভুক্ত বা ইনডেক্সধারী শিক্ষক নিয়োগ সুপারিশ পেয়েছেন বিভিন্ন স্কুল কলেজ ও মাদরাসায়। কিন্তু নতুন প্রতিষ্ঠানে যোগদানের আগে অভিজ্ঞতা ও ইনক্রিমেন্ট বহাল না থাকা নিয়ে শঙ্কায় ছিলেন তারা।
যদিও ২০২১ খ্রিষ্টাব্দের মার্চ মাসে জারি হওয়া স্কুল-কলেজের এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামোর ১১.১৫ ধারায় বলা হয়েছে, এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইনডেক্সধারী শিক্ষক ও প্রদর্শক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সমপদে বা সমস্কেলের চাকরিতে যোগদান করলে আগের অভিজ্ঞতা গণনাযোগ্য হবে। ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের নভেম্বরে জারি হওয়া মাদরাসার সংশোধিত এমপিও নীতিমালার ১১.৮ ধারায়ও একই কথা বলা হয়েছে। কিন্তু মাদরাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠান থেকে স্কুল কলেজে আসা শিক্ষকরা ইএমআইএসে ইনডেক্স ট্রান্সফার করে এমপিওভুক্ত হতে পারছিলেন না।