নওগাঁর বদলগাছীর ধর্মপুর গোয়ালভিটা হোসেনিয়া আলিম মাদরাসার সাবেক সভাপতি আব্দুল বারেক, অধ্যক্ষ আনোয়ার হোসেন ও কৃষি শিক্ষা বিষয়ের সহকারী শিক্ষক উজাউলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দুর্নীতির বিরুদ্ধে করা অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার গঠিত উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সাবাবসহ চার সদস্যের তদন্ত কমিটি বুধবার সকালে মাদরাসায় আসলেও অনুপস্থিত ছিলেন অধ্যক্ষ।
এ সময় এলাকার সুশীল সমাজ, শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ একত্রিত হয়ে দুর্নীতি বিরোধী স্লোগান দেন। তদন্তের সময় অভিযুক্ত সাবেক সভাপতি ও সাবেক শিক্ষক প্রতিনিধি উপস্থিত থাকলে ও অধ্যক্ষ মাদরাসায় উপস্থিত ছিলেন না।
অভিযোগকারীসহ স্থানীয়রা অভিযুক্তদের বিচার চাইলে তদন্ত কর্মকর্তা বদলগাছী কৃষি অফিসার বলেন, আপনাদের দাবিগুলো লিখিত আকারে আমাদের কাছে জমা দেন, আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিবো। তদন্ত কর্মকর্তার কথামতো সাবেক সভাপতি-অধ্যক্ষ-শিক্ষক উজাউল ইসলাম মিলে এলাকার যেসব ব্যক্তিদের কাছে থেকে চাকরি দেয়ার নামে বিভিন্ন অঙ্কের টাকা নিয়েছিলো তারা লিখিত আকারে অভিযোগ দাখিল করেন। সেই সঙ্গে ভুক্তভোগী শিক্ষক-শিক্ষার্থী, সচেতন মহল এবং জোর করে চাকরিচ্যুত করা শিক্ষক ও অন্যান্য ব্যক্তিরা ভিন্নভাবে তাদের বিরুদ্ধে লিখিত জবানবন্দি তদন্ত কর্মকর্তাদের হাতে জমা দেন।
তদন্ত কর্মকর্তারা অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক উজাউল ইসলামকে জিজ্ঞেস করেন, আপনার প্রতি মানুষের এতো অভিযোগ ও ক্ষোভ কেনো? জবাবে তিনি নিজের সব দোষ স্বীকার করে বলেন, ‘আমি যা করেছি প্রিন্সিপালের কথামতো করেছি’। এসব অভিযোগের বিষয়ে সাবেক সভাপতি আব্দুল বারেক মন্টুকে কোনো কথা বলতে শোনা যায়নি।
এ বিষয়ে জানতে অধ্যক্ষ আনোয়ার হোসেনের মুঠোফোনে কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। তাই তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে তদন্ত কর্মকর্তা সাবাব দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, অভিযোগের বিষয়ে প্রয়োজনীয় সব তথ্য নিয়ে এসেছি। সেগুলো যাচাই সাপেক্ষে খুব দ্রুত তদন্ত প্রতিবেদন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর জমা দেয়া হবে।