নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার পাঠানপাড়া এমইউ আলিম মাদরাসার সুপার রুহুল আমিন আজাদের কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হয়েছে।
তিনি উপজেলার পাঠানপাড়া এমইউ আলিম মাদরাসার সুপার হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
সোমবার (২৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় হামিদুল নামের এক ব্যক্তির ব্যবহৃত নম্বর থেকে মাদরাসা সুপার রুহুল আমিন আজাদের মোবাইলে কল দিয়ে টাকা ও প্রাণ নাশের হুমকি দেয়া হয়।
মাদরাসা সুপারের মোবাইলে দেওয়া হুমকির অডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় চাঞ্চল্যকর অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় ৩ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ওই মাদরাসা সুপার।
অভিযোগে জানা যায়, ২৯ নভেম্বর সন্ধ্যা ৭ টা ২৩ মিনিটে পাঠানপাড়া কিসামত এলাকার মৃত ইজবুল আলীর ছেলে হামিদুল ইসলামের ব্যবহৃত নম্বর (০১৭৪৪৪৬১৪১৮) থেকে পাঠানপাড়া দলবাড়ি এলাকার মৃত কছির উদ্দিনের ছেলে ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ন কবীর হুকুম আলী খানের ছোট ভাই আনিছুর রহমান মাদরাসা সুপার রুহুল আমিন আজাদের মোবাইলে কল দিয়ে পাঁচ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন এবং টাকা না দিলে তাকে খুন করে লাশ গুম করার হুমকি প্রদান করেন।
হামিদুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, ‘‘মোবাইলে টাকা না থাকার অজুহাতে আনিছুর রহমান আমার ব্যবহৃত ফোনটি কথা বলার জন্য নেন। পরে রাতে বাড়ি গিয়ে আমি জানতে পারি আমার ফোন দিয়ে মাদরাসা সুপারের কাছে টাকা চেয়ে হুমকি দিয়েছেন আনিছুর। আমি বিষয়টি তার ভাই সাবেক চেয়ারম্যানকে অবগত করেছি।
প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করে মাদরাসা সুপার রুহুল আমিন আজাদ বলেন,‘‘ আমার ফোনে হুমকি আসার পর থেকে আমার পরিবারসহ আতংকে রয়েছি, আর সাবেক চেয়ারম্যানের ভাইয়ের সাথে আমার কোন প্রকার লেনদেন নেই,তাকে এত টাকা চাঁদা কিভাবে দেবো।’’
অভিযুক্ত আনিছুর রহমানের ভাই ও সাবেক মীরগঞ্জ ইউ’পি চেয়ারম্যান হুমায়ন কবীর হুকুম আলী খান বলেন, ‘‘মাদরাসা সুপারকে মোবাইলে হুমকি দেওয়ার পর আমি আমার ছোট ভাইকে রাগারাগি করেছি।’’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মীরগঞ্জ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আব্দুর রহিম রেগে গিয়ে বলেন,‘‘ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অনুপতি নিয়ে এ বিষয়ে বক্তব্য দেয়া হবে।’’