নওগাঁর মহাদেবপুরে মাদরাসায় পড়ুয়া এক শিশু ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ওই মাদরাসার অফিস সহকারীর বিরুদ্ধে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে মো. মমেনুল হক মমো নামের ওই অফিস সহকারীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর মা।
জানা গেছে, মমেনুল হক মমো জয়পুর ডাঙ্গাপাড়া দাখিল মাদরাসার অফিস সহকারী ও জয়পুর ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের মো. আব্দুল খালেকের ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, মমেনুল হক মমো বিভিন্ন সময়ে ওই ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করতো। গত ২ আগস্ট সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ওই ছাত্রীকে মাদরাসার বারান্দায় দাঁড়ানো অবস্থায় পেয়ে বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয় এবং তাকে উত্তক্ত করে। এতে সে রাগ করে মাদরাসাতেই বই খাতা ফেলে বাড়িতে চলে আসে। ওইদিনই ছাত্রীটির খোঁজ খবর নেয়ার অজুহাতে দুপুর ১টার দিকে মমেনুল হক পীরপুকুর গ্রামে ওই ছাত্রীর দাদার বাড়িতে চলে যায়। সেখানে বাড়িতে কেউ না থাকায় ওই ছাত্রীর শয়ন ঘরে ঢুকে দরজা লাগিয়ে দিয়ে জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণ শেষে পালিয়ে যাওয়ার সময় মমেনুল হক নানা ভাবে ভয়ভীতি দেখায়।
ছাত্রীর দাদী জানান, দরিদ্রতার কারণে তার মা ও বাবা গাজীপুরে বাসা ভাড়া নিয়ে তার মা গার্মেন্টেসে চাকরি করে ও তার বাবা অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। সে তাদের সাথে জয়পুর পীরপুকুর গ্রামে থেকে পার্শ্ববর্তী জয়পুর ডাঙ্গাপাড়া দাখিল মাদরাসায় লেখাপড়া করছে। ঘটনার দিন আমি তাকে মাদরাসায় পাঠিয়ে দিয়ে আমার অসুস্থ মেয়েকে দেখতে মেয়ের বাড়ি যায়। এ সুযোগে সে এই কাজ করেছে।
এ বিষয়ে জয়পুর ডাঙ্গাপাড়া দাখিল মাদরাসার সুপার মো. মাজেদুর রহমান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, অফিস সহকারী মমেনুল হক ওরফে মমোর বিরুদ্ধে মৌখিকভাবে এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিষয়টি ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে।
এ বিষয়ে মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর মা বাদি হয়ে জয়পুর ডাঙ্গাপাড়া দাখিল মাদরাসার অফিস সহকারী মো. মমেনুল হক মমোকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। আসামি পলাতক থাকায় তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তবে আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।