মাদরাসার গ্রন্থাগারিকরাও শিক্ষক মর্যাদা পেলেন

নিজস্ব প্রতিবেদক |

বেসরকারি স্কুল কলেজের মত মাদরাসার গ্রন্থাগারিক ও সহকারী গ্রন্থাগারিকরাও শিক্ষক মর্যাদা পেলেন। দাখিল মাদরাসায় নিয়োগ পাওয়া  সহকারী গ্রন্থাগারিক-ক্যাটালগার পদের নাম হবে গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান বিষয়ের সহকারী শিক্ষক এবং আলিম মাদরাসা, বিএম কলেজ, কৃষি ডিপ্লোমা প্রতিষ্ঠানের  গ্রন্থাগারিক পদের নাম গ্রন্থাগার প্রভাষক করা হয়েছে। আর এসব পদে নিয়োগ সুপারিশের দায়িত্ব দেয়া হচ্ছে এনটিআরসিএকে। এসব নির্দেশনা দিয়ে আদেশ জারি করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ।

রোববার (২৫ জুলাই) মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে আদেশটি সব মাদরাসায় পাঠিয়ে বিষয়টি জানানো হয়। গত ১৮ জুলাই জারি করা আদেশটি এদিনই প্রথমবারের মত প্রকাশিত হলো। 

আদেশে কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ বলছে,  বেসরকারি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮ [ভোকেশনাল, ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা (বিএম), কৃষি ডিপ্লোমা ও মত্স্য ডিপ্লোমা] (২৩ নভেম্বর, ২০২০ পর্যন্ত সংশোধিত) নীতিমালায় আগের সহকারী গ্রন্থাগারিক' পদটি 'সহকারী শিক্ষক ( গ্রন্থাগার ও তথা বিজ্ঞান)' পদ হিসেবে এবং বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (মাদরাসা) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮ (২৩ নভেম্বর, ২০২০ পর্যন্ত সংশোধিত) নীতিমালায় আগের 'সহকারী গ্রন্থাগারিক কাম ক্যাটালগার, সহকারী গ্রন্থাগারিক/ক্যাটালগার পদটি 'সহকারী শিক্ষক (গ্রন্থাগার ও তথ্য 'বিজ্ঞান)' ও পূর্বের 'গ্রন্থাগারিক’ পদটি ‘গ্রন্থাগার প্রভাষক' পদ হিসেবে বিবেচিত হবে।

মন্ত্রণালয় আরও বলছে, সহকারী শিক্ষক (গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান)' এবং 'গ্রন্থাগার প্রভাষক পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে এন্ট্রি লেভেলের অন্যান্য শিক্ষকের মত বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) মাধ্যমে নিবন্ধন পরীক্ষা গ্রহণ ও উত্তীর্ণদের সনদ প্রদানসহ যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণপূর্বক স্ব স্ব অধিদপ্তরের চাহিদার অনুকূলে নিয়োগ সুপারিশ করতে হবে।

নতুন শিক্ষক মর্যাদা পাওয়া পদগুলোতে নিয়োগ নিয়ে আদেশে বলা হয়েছে, ১৭তম নিবন্ধন পরীক্ষার অংশ হিসেবে এ দুইটি পদে সংশোধিত এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী সিলেবাস প্রণয়নসহ শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে। 

তবে, এ আদেশ জারির আগে অর্থাৎ ১৮ জুলাইয়ের আগে বিধিমোতাবেক যাদের নিয়োগ ফল প্রকাশ করে প্রার্থী চূড়ন্ত করা হয়েছে তারা যথাযথ প্রক্রিয়ায় আগের নিয়মে এমপিওভুক্ত হতে পারবেন বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রণালয় আরও বলছে, এ আদেশ জারির পর কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি বা গভর্নিং বডি বা অ্যাডহক কমিটি এ পদগুলোতে নিয়োগ দেয়া যাবে না। এ আদেশ জারির পর এসব পদে ম্যানেজিং কমিটি বা গভর্নিং বডির মাধ্যমে নিয়োগ দেয়া হলে তা অবৈধ নিয়োগ বলে বিবেচিত হবে এবং তারা কোনোভাবেই এমপিওভুক্তির আওতায় আসবে না।

বেসরকারি এমপিওভুক্ত মাদরাসায় গ্রন্থাগারিক ও সহকারী গ্রন্থাগারিক পদে নিয়োগে বেশকিছু দিন ধরে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের প্রতিনিধি মনোনয়ন করা হচ্ছিল না। অনেক প্রার্থী আবেদন করলেও নিয়োগ প্রত্যাশীদের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে পারছিল না মাদরাসাগুলো।  এ পদগুলোতে নিয়োগ বন্ধ রাখার নির্দেশনা ছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে। পরে মাদারাসা শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে এ পদগুলোতে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো এক চিঠিতে সিদ্ধান্ত চেয়েছিল অধিদপ্তর।

মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্র বলছে,  মাদরাসার গ্রন্থাগারিক ও সহকারী গ্রন্থাগারিকদের শিক্ষক মর্যাদা দেয়া হলে তাদের নিয়োগ কিভাবে হবে সে বিষয়ে একটি খসড়া নীতিমালা তৈরি করে তা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগে পাঠানো হয়েছিল।  

দীর্ঘ অপেক্ষার পর গত ২৮ মার্চ জারি হওয়া বেসরকারি স্কুল-কলেজের এমপিও নীতিমালায় প্রথমবারের মত শিক্ষক মর্যাদা পান স্কুল ও কলেজে কর্মরত গ্রন্থাগারিক এবং সহকারী গ্রন্থাগারিক ও ক্যাটালগাররা। বেসরকারি স্কুল ও কলেজের এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামোতে গ্রন্থাগারিকদের পদের নতুন নাম ‘গ্রন্থাগার প্রভাষক’ এবং সহকারী গ্রন্থাগারিক কাম ক্যটালগারদের পদের নতুন নাম 'সহকারী শিক্ষক (গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান)' করা হয়। 

শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।

দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল  SUBSCRIBE  করতে ক্লিক করুন।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন - dainik shiksha জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ - dainik shiksha পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা - dainik shiksha হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে - dainik shiksha সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা - dainik shiksha সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন - dainik shiksha জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো - dainik shiksha ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা - dainik shiksha তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0028109550476074