মাদরাসার চুক্তিভিত্তিক অধ্যক্ষকে দায়িত্ব ছাড়ার নির্দেশ

উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি |

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার কয়ড়া ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ এম শাহজাহান আলীর চাকরি শেষে একই পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেয়েছেন। তবে এ নিয়োগ বৈধ নয় বলে জানিয়েছেন ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়। তাকে মাদরাসার দায়িত্ব ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম। 

জানা গেছে, চাকরির বয়স শেষ হলেও কয়ড়া ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ পদে ফের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়া হয় এম শাহজাহান আলীকে। মাদরাসার গভর্নিং বডির সভাপতি গত ১২ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের জন্য আবেদন করেন। তবে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বিধিসম্মত নয়।

মাদরাসার এক শিক্ষক দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, অধ্যক্ষ শাহজাহানের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানের টাকা আত্মসাৎ ও নানা অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। বয়স ষাট পূর্ণ হলেও মাদরাসার দায়িত্ব ছাড়তে চাচ্ছেন না অধ্যক্ষ শাহজাহান। তাই মাদরাসার গভর্নিং বডির সভাপতি কয়ড়া স্কুল এন্ড কলেজের অফিস সহকারী মজির উদ্দিনের সঙ্গে যোগসাজশ করে তিনি চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ নিয়োগ নিয়েছেন। শাহজাহান সাহেব কৌশলে অধ্যক্ষের চেয়ার অবৈধভাবে দখল করে রেখেছেন বলেও তিনি অভিযোগ করে জানান।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যক্ষ এম শাহজাহান আলী মুঠোফোনে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, অধ্যক্ষ পদ না ছেড়ে গভর্নিং বডির সবার (রেজুলেশন) অনুমতি নিয়ে মাদরাসার সভাপতি আমাকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিতে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর আবেদন করেছেন। 

মাদরাসায় চুক্তিভিত্তিক অধ্যক্ষ নিয়োগের বিধান আছে কি-না জানতে চাইলে অধ্যক্ষ বলেন, অনেক কিছুই তো বিধিতে থাকে না। এব্যাপারে আমি উচ্চ আদালতে রিট আবেদন করেছি। 

মাদরাসার গভর্নিং বডির সভাপতি মো. মজির উদ্দিন মুঠোফোনে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, তিনি ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের চিঠি পাননি। এতোটুকু বলেই ফোন কেটে দেন তিনি।

ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম মুঠোফোনে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, চাকরি শেষ হলে মাদরাসার পদে থাকার ও চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের কোনো সুযোগ নেই। গত ১৯ জুলাই চিঠিতে পাঠিয়ে ওই অধ্যক্ষকে ৭ কর্মদিবসের মধ্যে বিধিমোতাবেক অধ্যক্ষের পদ হস্তান্তরের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
ইউএনওর ‘মানসিক নির্যাতনে’ শিক্ষকের মৃত্যুর অভিযোগ - dainik shiksha ইউএনওর ‘মানসিক নির্যাতনে’ শিক্ষকের মৃত্যুর অভিযোগ শিক্ষা ক্যাডারে পদোন্নতির সভা ১৮ সেপ্টেম্বর - dainik shiksha শিক্ষা ক্যাডারে পদোন্নতির সভা ১৮ সেপ্টেম্বর সেই অভিযুক্ত রেবেকাই এবার মাউশি ঢাকার ডিডি! - dainik shiksha সেই অভিযুক্ত রেবেকাই এবার মাউশি ঢাকার ডিডি! নাহিদ-দীপুর ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিই মাউশি অধিদপ্তরের ডিজি হচ্ছেন! - dainik shiksha নাহিদ-দীপুর ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিই মাউশি অধিদপ্তরের ডিজি হচ্ছেন! শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডেঙ্গু প্রতিরোধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে- জানতে চায় অধিদপ্তর - dainik shiksha শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডেঙ্গু প্রতিরোধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে- জানতে চায় অধিদপ্তর এক ফ্যাসিস্টকে দেশ ছাড়া করেছি অন্যকে সুযোগ দেয়ার জন্য নয়: সারজিস - dainik shiksha এক ফ্যাসিস্টকে দেশ ছাড়া করেছি অন্যকে সুযোগ দেয়ার জন্য নয়: সারজিস কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0045640468597412