মাদরাসার পুকুর ফিরে পেতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন

পঞ্চগড় প্রতিনিধি |

পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় মাদরাসার নামে দান করা ১৫ শতক জমিতে থাকা পুকুর দখল করে ভোগ করছেন মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি। বার বার তাগাদা দেয়া সত্ত্বেও পুকুর দখল ছাড়েননি সভাপতি। স্থানীয়ভাবে ও থানা পুলিশে অভিযোগ করেও প্রতিকার না পাওয়ায় সভাপতির হাত থেকেও মাদরাসার পুকুর ও জমির দখল ফিরে পেতে মানববন্ধন করেছেন কয়েকশ মুসুল্লী ও এলাকাবাসী। শুক্রবার (৬ অক্টোবর) জুমার নামাজের পরে উপজেলার চন্দনবাড়ি ইউনিয়নের প্রধানপাড়া হাফেজিয়া মাদরাসার সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।  

মানববন্ধনে স্থানীয় মুসল্লী মাজেদুল ইসলাম, হায়াতুন নবী, নুর হোসেন, রিয়াদ হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ১৯৮০ খ্রিষ্টাব্দে স্থানীয় নারী আলেকজান বেওয়া প্রধানপাড়া হাফেজিয়া মাদরাসা, এতিমখানা ও লিল্লাহ বোর্ডিংয়ের নামে ১৫ শতক জমি  দান করেন।

কিন্তু মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি আজহারুল ইসলাম দানপত্রের কথা মুসুল্লিদের কাছে প্রকাশ না করে নিজেই ভোগ দখল করে আসছিলেন। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে মাদরাসার জমি ফেরত দিতে বেশ কয়েকবার সালিশ হলেও দখল ছাড়েনি সভাপতি আজহারুল ইসলাম। উল্টো তিনি জমিটি নিজের দাবী করেছেন। এনিয়ে থানা পুলিশে অভিযোগ দিলেও কোন প্রতিকার মেলেনি।

মাদরাসার জমি পুকুর ফেরত পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী। মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি আজহারুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

তবে আজহারুল ইসলামের ছোট ভাই রমজান আলী বলেন, 'জমির মালিকানার কাগজপত্র আমাদেরও কাছে আছে। জমি যদি মাদরাসা পেয়ে থাকে তাহলে উনারা সকলে আমাদের নামে মামলা করুক। মামলার রায় যারাই পাবে তারাই জমির মালিক হবে। অন্যথায় জমিতে আসলে সমস্যা হবে।'

 

চন্দনবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বলেন, 'জমিটি মাদরাসার হলেও কাগজপত্র কার কাছে কেউই জানতো না। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে জমি ফিরে পেতে মুসল্লীরা সালিশের আয়োজন করে। আমি এ নিয়ে তিন চারবার সালিশ করেছি। মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি এই ১৫ শতক জমির বদলি অন্যত্র ৩০ শতক জমি দিতে চেয়েছিলেন। যেটা মাদরাসার আশপাশের মধ্যেই। কিন্তু কিছু লোকজন সেটা মানতে ছিল না। এ কারণে বিষয়টির কোন সমাধান হয়নি।'


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
ইউএনওর ‘মানসিক নির্যাতনে’ শিক্ষকের মৃত্যুর অভিযোগ - dainik shiksha ইউএনওর ‘মানসিক নির্যাতনে’ শিক্ষকের মৃত্যুর অভিযোগ শিক্ষা ক্যাডারে পদোন্নতির সভা ১৮ সেপ্টেম্বর - dainik shiksha শিক্ষা ক্যাডারে পদোন্নতির সভা ১৮ সেপ্টেম্বর সেই অভিযুক্ত রেবেকাই এবার মাউশি ঢাকার ডিডি! - dainik shiksha সেই অভিযুক্ত রেবেকাই এবার মাউশি ঢাকার ডিডি! নাহিদ-দীপুর ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিই মাউশি অধিদপ্তরের ডিজি হচ্ছেন! - dainik shiksha নাহিদ-দীপুর ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিই মাউশি অধিদপ্তরের ডিজি হচ্ছেন! শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডেঙ্গু প্রতিরোধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে- জানতে চায় অধিদপ্তর - dainik shiksha শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডেঙ্গু প্রতিরোধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে- জানতে চায় অধিদপ্তর এক ফ্যাসিস্টকে দেশ ছাড়া করেছি অন্যকে সুযোগ দেয়ার জন্য নয়: সারজিস - dainik shiksha এক ফ্যাসিস্টকে দেশ ছাড়া করেছি অন্যকে সুযোগ দেয়ার জন্য নয়: সারজিস কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0021798610687256