মাদরাসার ভবন ঝুঁকিপূর্ণ, মাঠেই চলছে পাঠদান

রাজাপুর (ঝালকাঠি) প্রতিনিধি |

ঝালকাঠির রাজাপুরে মাদরাসার ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ছেড়ে খোলা মাঠেই শিক্ষার্থীদের পাঠদান করাতে হচ্ছে শিক্ষকদের। উপজেলার শুক্তগড় মাহমুদিয়া দাখিল মাদরাসার এ অবস্থা। খোলামাঠে ক্লাস করায় আগ্রহ হারাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। 

মাদরাসা সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কয়েক বছর আগে থেকেই ভবনের ছাদ থেকে পানি পড়তে শুরু করে। অফিস কক্ষের ভিম ভেঙে পড়েছে। ভবনের প্রতিটা পিলার ফেটে লোহার রড বের হয়ে গেছে। ভবনের পলেস্তারা খসে খসে পড়ছে। কক্ষের সিলিংসহ ভিম ফেটে রড বের হয়ে গেছে। পলেস্তারা পড়ে অনেক সময় শিক্ষার্থীরা আহতও হয়েছেন। এখন যেকোনো সময় ভবন ধ্বসে পড়তে পারে, এই ভেবে এখন ভবনের মধ্যে শিক্ষার্থীরা আর ক্লাসে বসতে চাচ্ছেন না। ভবনের দুরবস্থা দেখে এক বছর আগে মৌখিকভাবে ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন কর্তৃপক্ষ। 

বর্তমানে এই মাদরাসায় প্রথম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত মোট ২৭৫ জন শিক্ষার্থী রয়েছেন।  

মাদরাসার শিক্ষার্থী অভিভাবক আব্দুল ওয়াহেদ তালুকদার, মো. রুবেল হাওলাদার, মো. ছাইদুল সিকদার, মো. খলিলুর রহমান মোল্লা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, বর্তমানে মাদরাসার শ্রেণিকক্ষের যে অবস্থা তাতে ছেলে-মেয়েদের মাদরাসায় পাঠাতে দিন দিন আগ্রহ হারিয়ে ফেলছি। বাচ্চাদের মাদরাসায় পাঠিয়ে সারাদিন আতঙ্কে থাকতে হয়।

মাদরাসার সুপার মাহবুবুর রহমান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, দিন দিন শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে যাচ্ছে। সামনে আবার বর্ষাকাল আসছে তখন শিক্ষার্থীদের কোথায় বসাবো জানি না।  

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মোস্তফা আলম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, সংসদ সদস্য নতুন ভবন করে দেবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন। কাজ না হলে আবারও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষসহ প্রধানমন্ত্রীর কর্যালয়ে যাবো।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
ইউএনওর ‘মানসিক নির্যাতনে’ শিক্ষকের মৃত্যুর অভিযোগ - dainik shiksha ইউএনওর ‘মানসিক নির্যাতনে’ শিক্ষকের মৃত্যুর অভিযোগ শিক্ষা ক্যাডারে পদোন্নতির সভা ১৮ সেপ্টেম্বর - dainik shiksha শিক্ষা ক্যাডারে পদোন্নতির সভা ১৮ সেপ্টেম্বর সেই অভিযুক্ত রেবেকাই এবার মাউশি ঢাকার ডিডি! - dainik shiksha সেই অভিযুক্ত রেবেকাই এবার মাউশি ঢাকার ডিডি! নাহিদ-দীপুর ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিই মাউশি অধিদপ্তরের ডিজি হচ্ছেন! - dainik shiksha নাহিদ-দীপুর ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিই মাউশি অধিদপ্তরের ডিজি হচ্ছেন! শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডেঙ্গু প্রতিরোধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে- জানতে চায় অধিদপ্তর - dainik shiksha শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডেঙ্গু প্রতিরোধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে- জানতে চায় অধিদপ্তর এক ফ্যাসিস্টকে দেশ ছাড়া করেছি অন্যকে সুযোগ দেয়ার জন্য নয়: সারজিস - dainik shiksha এক ফ্যাসিস্টকে দেশ ছাড়া করেছি অন্যকে সুযোগ দেয়ার জন্য নয়: সারজিস কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.013382911682129