কুমিল্লার মুরাদনগরে আয়েত উল্লাহ নামের এক মাদরাসা ছাত্রের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। উপজেলার নবীপুর পশ্চিম ইউনিয়নের নিমাইকান্দি এলাকার মাদরাসাতুল কোরআন ও সুন্নাহ মাদরাসায় মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। নিহত আয়েত ওই মাদরাসার হেফাজ বিভাগের ছাত্র।
মাদরাসা কর্তৃপক্ষের দাবি, নিহত আয়েত আত্মহত্যার করেছে। তাকে জোর করে মাদরাসায় দিয়ে যাওয়া হয়েছিল বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে মুরাদনগর থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
জানা যায়, উপজেলার জাহাপুর ইউনিয়নের সাতমোড়া গ্রামের হুমায়ুন কবীরের দুই ছেলে আয়েত উল্লাহ (১১) ও সামিউলকে (৯) গত এক বছর আগে মাদরাসাতুল কোরআন ও সুন্নাহ মাদরাসায় হেফাজ বিভাগে ভর্তি করানো হয়। অসুস্থতার কারণে গত সাত দিন আগে আয়েত উল্লাহকে তার মা চিকিৎসার জন্য বাড়ি নিয়ে যায়। চিকিৎসা শেষে সে মাদরাসায় আসতে রাজি হচ্ছিল না।
মাদরাসা কর্তৃপক্ষের দাবি, মঙ্গলবার বিকেলে জোর করে তাকে মাদরাসায় দিয়ে যাওয়া হয়। কিছুক্ষণ পরই একজন ছাত্র টয়লেটে গিয়ে আয়েত উল্লাহকে টয়লেটে ভেন্টিলেটরের গ্রিলের গায়ে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। ছাত্র শিক্ষকরা উদ্ধার করে মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
এ বিষয়ে মাদরাসার প্রধান শিক্ষক মোহম্মদ কাউছার দৈনিক শিক্ষাডটকমের কাছে দাবি করেন, ‘আয়েত উল্লাহ অসুস্থ্য হলে চিকিৎসার জন্য তার মা তাকে বাড়ি নিয়ে যায়। চিকিৎসা শেষে মঙ্গলবার বিকেলে তাকে মাদরাসায় দিয়ে গেলে আমরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই মাগরিব নামাজ আদায় সময়ে সে আত্মহত্যা করে।’
মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) নাহিদ আহমেদ দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, খবর পেয়ে হাসপাতাল থেকে মাদরাসা ছাত্র আয়েত উল্লাহর লাশ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। বুধবার ময়নাতদন্তের জন্য লাশ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে।