শ্রুতিকটু ও নেতিবাচক ভাবার্থ দাঁড়ায় এমন ২৪৭ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সুন্দর ভাবার্থের নতুন নাম দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। গত ৩ এপ্রিল উপসচিব মোহাম্মদ কবির উদ্দীন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়। তারই আওতায় নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার কচুগাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় মাধবীলতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। কিন্তু ওই সিদ্ধান্তে বেজায় নারাজ কচুগাড়ি গ্রামের বাসিন্দারা। গত শনিবার রীতিমতো মানববন্ধন করে কচুগাড়ি নাম পুনর্বহালের জানি জানিয়েছেন তারা।
বিদ্যালয়টির সামনে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনটি সঞ্চালনা করেন প্রাক্তন শিক্ষার্থী মাহমুদুল হক খোকন। সভাপতিত্ব করেন হাসানুজ্জামান। তাতে অংশ নেন সাবেক ইউপি নদস্য ওলিউল্লাহ ডাবলু, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মান্নান, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি সাইদুর রহমান মন্টু, বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) নাটোর জেলা শাখার সভাপতি ডা. এসএম জাকির হোসেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তা রাজিবুল হক প্রমুখ।
হাসানুজ্জামান বলেন, ১৯০০ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত এই বিদ্যালয়টি নাম পরিবর্তনের জন্য মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি দিয়ে মতামত জানতে চাওয়া হয়। আমরা রেজুল্যুশনের মাধ্যমে নাম পরিবর্তন না করতে উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে অবহিত করেছি। কিন্তু তারপরেও গত ৩ এপ্রিল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রালয় থেকে প্রজ্ঞাপন দিয়ে বিদ্যালয়টির নাম মাধবীলতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় করা হয়। যা এলাকায় দৃষ্টিকটু দেখাচ্ছে। কচুগাড়ি গ্রামের লোকজন মেনে নিতে পারছেন না। তাই অনতিবিলম্বে কচুগাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নামটি পুনর্বহাল জন্য দাবি জানাচ্ছি।
মাহমুদুল হক খোকন বলেন, এই বিদ্যালয়টি গ্রামের নামে নামকরণ করা হয়। এটি কোনোভাবেই পরিবর্তন করার প্রয়োজন পড়ে না। এই বিদ্যালয় থেকে অনেক ভালো ভালো শিক্ষার্থী দেশের বিভিন্ন স্থানে কর্মরত আছেন। তাই এ বিদায়টির নাম পুনর্বহাল করতে প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও গ্রামের সচেতন নাগরিক হিসেবে দাবি জানাচ্ছি।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, নাম পরিবর্তন না করার জন্য কোনো মতামত আমি পাইনি। তবে কীভাবে পরিবর্তন হলো সেটাও আমার জানা নেই।