মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করেছেন নওগাঁর ১১টি উপজেলার ৮ শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকেরা।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন তারা। এ সময় অবিলম্বে দেশের সব মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের জন্য শিক্ষা উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি জমা দেন শিক্ষকেরা।
এ সময় শিক্ষকেরা বলেন, মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার ৯৭ ভাগ দায়িত্ব পালন করছি আমরা। কিন্তু বেতন-ভাতার দিক দিয়ে আমরা বৈষম্যের শিকার। দেশ স্বাধীনের পর ৫৩ বছর হলেও আমাদের বৈষম্যের অবসান হয়নি। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দ্বিতীয়বার স্বাধীনতার স্বাদ পেলেও এখন পর্যন্ত শিক্ষা উন্নয়নের দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ চোখে পড়েনি। তাই দ্রুত মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করতে হবে। নাহলে কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।
বক্তারা আরো বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে একজন শিক্ষক ১২ হাজার ৫০০ টাকা বেতনে কীভাবে তার সংসার চালাতে পারেন। অধ্যক্ষ থেকে পিয়ন পর্যন্ত ১ হাজার টাকা বাড়িভাড়া, ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতায় কীভাবে চলতে পারেন। উৎসব ভাতা পান মূল বেতনের মাত্র ২৫ শতাংশ। অনেক শিক্ষক রয়েছেন, যারা নিজ জেলার বাইরে চাকরি করছেন। এই ১ হাজার টাকা বাড়িভাড়া দিয়ে একটি বাড়ি তো দূরের কথা, খুপরি ঘরও পাওয়া যাবে না।
পাঁচশ টাকা চিকিৎসা ভাতা, যা দিয়ে একবার ডাক্তারের ফি হয় না। মূল বেতনের ২৫ শতাংশ উৎসব ভাতা, যা অন্যের কাছে বলতেও খারাপ লাগে। এতো বৈষম্যের মধ্যে থেকেও দেশের শিক্ষাব্যবস্থার ৯৭ শতাংশ দায়িত্ব পালন করছি আমরা। তাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করা এখন সময়ের দাবি, যোগ করেন তারা।