শিক্ষার ভিত্তি যদি প্রাথমিক শিক্ষা হয় তাহলে শিক্ষার মেরুদণ্ড হলো মাধ্যমিক শিক্ষা। মেরুদণ্ড সোজা না থাকলে একজন মানুষ যেমন দাঁড়াতে পারে না তেমনি মাধ্যমিক শিক্ষা তথা শিক্ষার মেরুদণ্ড ঠিক না থাকলে তা জাতির জন্য অশুভ ফল বয়ে আনে। মানসম্মত ও গুণগত শিক্ষা বিস্তারে এমপিওভুক্ত শিক্ষক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। কেনোনা মাধ্যমিক পর্যায়ে ৯৪ ভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (প্রায় ৩১ হাজার) বেসরকারি। মাধ্যমিক পর্যায়ের ৯৫ ভাগের বেশি শিক্ষার্থী বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করে। দেশে সবমিলিয়ে (স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি) এমপিওভুক্ত শিক্ষকের সংখ্যা ৫ লাখের মতো। কিন্তু এমপিওভুক্ত মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহে নানামুখী বৈষম্য বিদ্যমান।
মাধ্যমিক পর্যায়ে সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষকদের সুযোগ-সুবিধার পার্থক্য
ধরন (বেতন-ভাতা ও সুবিধা) |
সরকারি বিদ্যালয় (৪% প্রতিষ্ঠান) |
বেসরকারি বিদ্যালয় |
চাকরি শুরুর স্কেল |
১৬০০০ টাকা (১০ গ্রেড) |
১২,৫০০ টাকা (১১ প্রেড) |
মূল বেতনের বাড়ি ভাড়া |
৪০-৫০% |
১০০০ টাকা (নির্দিষ্ট) |
চিকিৎসা ভাতা |
১৫০০ টাকা |
৫০০ টাকা |
উৎসব ভাতা (মূল বেতনের) |
১০০% |
২৫% |
অবসর ভাতা (মূল বেতনের) |
৩০০% |
৭৫% |
বদলি |
সুবিধাজনক প্রতিষ্ঠানে বদলি |
নেই |
বৈষম্যের মধ্য দিয়ে চলছে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জীবন:
মাধ্যমিকের বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা সরকারি শিক্ষকদের চেয়ে বেতন-ভাতা ও সুযোগ-সুবিধার দিক থেকে অনেক পিছিয়ে। এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা মূল বেতনের (বিএডবিহীন বেতন গ্রেড-১১) সঙ্গে অন্যান্য যৎসামান্য ভাতা (বাড়িভাড়া নির্দিষ্ট ১ হাজার ও চিকিৎসা ভাতা ৫’শ) পান। অন্যদিকে সরকারি শিক্ষকরা যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা পান। আবার বেসরকারি পর্যায়ে শিক্ষকতা সমাপ্ত করে একজন শিক্ষককে অল্প টাকার পেনশনে (অবসর-কল্যাণের) সন্তুষ্ট হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করতে হয়। চাকরিজীবন শেষে অবসর-কল্যাণ সুবিধার টাকা পেতেও বছরের পর বছর অপেক্ষায় থাকতে হয়। পেনশনটাও যে সময়মতো পাওয়া যাবে তার নিশ্চয়তা নেই। অতীতে চাকরি শেষে পেনশনের আশায় থাকতে থাকতে অনেক শিক্ষকের মৃত্যুরও উদাহরণ আছে। মানুষ গড়ার কারিগর শিক্ষকের সঙ্গে এমন অমানবিক আচরণ কখনো কাম্য নয়। সরকারি স্কুলের মতো একই পাঠ্যবই, একই সিলেবাস, একই কর্মঘন্টা পড়ানোর পড়েও বেসরকারি শিক্ষকরা চরম বৈষম্যের শিকার। শিক্ষকের বেতন-ভাতা কম বলে বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চাকরিকে অনেকে অতি নিম্নমানের চাকরি ভাবেন।
বেতন সবমিলিয়ে ১২,৭৫০ টাকা
এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একজন সহকারী শিক্ষক (বিএড সনদ ব্যতীত) নিয়োগপ্রাপ্তির শুরুতে অবসর ও কল্যাণের টাকা কর্তনের পর সবমিলিয়ে (বেতন, বাড়িভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা) ১২ হাজার ৭৫০ টাকা হাতে পান। বর্তমান বাস্তবতায় একজন শিক্ষক এই সামান্য বেতনে কীভাবে সংসার চালাবেন- এটা শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও কর্তৃপক্ষ ভেবে দেখে না। কোনো শিক্ষক তথা মানুষ গড়া কারিগরের বেতন কী এত নিম্নমানের হতে পারে? এত কম বেতন দিয়ে কী ক্ষুদ্র পরিবার নিয়েও জীবন চালানো সম্ভব? যেসব শিক্ষক বাড়ি থেকে অনেক দূরে নিয়োগ পেয়েছেন তাদের অবস্থা তো আরো করুণ। ধারদেনা করে চলতে চলতে বদলি না পেয়ে অনেকে চাকরি ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। বাংলাদেশের অনেক মন্ত্রণালয়ের পিয়নের বেতনও এর চেয়ে বেশি! বাংলাদেশের মতো এত কম বেতনের শিক্ষক দক্ষিণ এশিয়ার আর কোনো দেশে নেই।
বদলি নেই, উৎসব ভাতা নামমাত্র!
মাধ্যমিক পর্যায়ে সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষকতা পেশায় বিভিন্ন ক্ষেত্রে বৈষম্য দৃশ্যমান। শিক্ষকদের সম্মানের সঙ্গে মানসম্মত সম্মানীও দরকার। এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের আলাদাভাবে কোনো বদলি নেই। অন্য সব চাকরিতে বদলি থাকলেও এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা কেনো বদলির সুযোগ পাবেন না? এনটিআরসিএ (বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ)- এর গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সরকার কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের বদলির দাবি দীর্ঘদিনের। সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য বছরে দুই দফায় বদলির ব্যবস্থা আছে। সে হিসেবে এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা বছরে একবারও সে সুযোগ কী পেতে পারেন না? বদলি না থাকায় যৎসামান্য বেতনে পরিবার-পরিজন রেখে ভিন্ন জেলায় গিয়ে চাকরি করতে গিয়ে অনেক শিক্ষকদের ঋণ করে চলতে হচ্ছে।
৫ লাখের বেশি এমপিওভুক্ত শিক্ষক শতভাগ উৎসব ভাতা থেকে বঞ্চিত। সরকারি-বেসরকারি ও সমমানের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যদি শতভাগ উৎসবভাতাপ্রাপ্ত হয়ে থাকেন তাহলে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা কেনো পাবেন না। বাংলাদেশের আর কোনো প্রতিষ্ঠানে ২৫ শতাংশ উৎসবভাতা আছে বলে জানা নেই। একই চাকরিতে উৎসব ভাতা তো কম-বেশি দেয়ার বা বিবেচনা করার সুযোগ নেই! উৎসব তো উৎসবই। দীর্ঘদিন ধরে শতভাগ উৎসব ভাতা না পাওয়ার কারণে বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে।
বেসরকারি শিক্ষার্থীদের গুণতে হচ্ছে দশগুণ বেতন:
বর্তমানে উপজেলা পর্যায়ে একটি মাত্র মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সরকারি হয়েছে। যা চাহিদার তুলনায় নগণ্য। দেখা যাচ্ছে, ঢাকা বা বিভাগীয় শহরগুলোতে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী মাসিক এক’শ টাকার কম বেতনে পড়াশোনা করছে। অপরদিকে উপজেলা বা গ্রাম পর্যায়ে অপর একজন শিক্ষার্থী সরকারি বিদ্যালয়ের বেতনের দশগুণ টাকা দিয়ে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ছে। উপজেলার সরকারি স্কুলে একজন শিক্ষার্থী যেখানে মাসিক ১০ টাকা বেতনে পড়ালেখা করছে সেখানে পার্শ্ববর্তী বেসরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সরকারি বিদ্যালয়ের চেয়ে বহুগুণ অর্থ খরচ করতে হচ্ছে। ক্ষেত্রবিশেষে স্বল্প আয়ের অভিভাবকরা বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অতিরিক্ত ‘ফি’র কারণে তাদের সন্তানদের পড়ালেখার খরচ যোগাতে হিমশিম খাচ্ছেন। অনেক ক্ষেত্রে পড়ালেখার খরচ না সামলাতে পেরে মেয়েদের বাল্যবিয়ের ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। তাই কোটি কোটি শিক্ষার্থীদের স্বার্থে মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণ করাই হবে সঠিক পদক্ষেপ।
জাতীয়করণে বাধা কোথায়?
এখন এমপিওভুক্ত মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক, পাঠ্যবই, অবকাঠামো, শিক্ষকদের বেতন সবই দিচ্ছে সরকার। তাহলে প্রশ্ন হলো, সবই যখন দিচ্ছে সরকার তখন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কেনো এতো বৈষম্য বিরাজমান? বর্তমানে একটা এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন খাতে আয়-রোজগারও নেহাত কম নয়। তাছাড়া জাতীয়করণ করা হলে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আয়-ব্যয়ের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধি পাবে। অনেক এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের কষ্টের অর্থ নয়ছয় হওয়ারও অভিযোগ শোনা যায়। বেশিরভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আর্থিক ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মারাত্মক অভাব রয়েছে। গবেষণা করা দরকার যে, এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করলে ঠিক কী পরিমাণ অর্থ শিক্ষকদের বেতন-ভাতার জন্য অতিরিক্ত প্রয়োজন হবে। যদিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জমানো অর্থ আর মাসিক আয়-রোজগারের অর্থ সরকারি কোষাগারে দিয়ে দেয়ার পর খুব একটা অর্থ লাগার কথা না। দেশের বিভিন্ন প্রকল্পে অর্থ অপচয় ও নানা অনিয়মের কথা শোনা যায়। শুধু শিক্ষকদের সম্মানী বাড়ানোর কথা উঠলে যতো বাহানা। মূলত পৃথিবীর বেশিরভাগ উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশসমূহ মনে করে শিক্ষায় বিনিয়োগ বা ব্যয় সবচেয়ে উত্তম বিনিয়োগ। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জমানো আয় বিবেচনায় নিয়ে এবং সরকারের আর্থিক সক্ষমতা বিচার করলে- মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ খুব ভালোভাবেই সম্ভব।
মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ না হলে দেশ পিছিয়ে যাবে:
নিম্নমানের বেতন-ভাতা দিয়ে মাধ্যমিক পর্যায়ে মানসম্মত ও আধুনিক শিক্ষা নিশ্চিত করা যায় না। শিক্ষকদের শতভাগ উৎসব ভাতা, বদলি, বেতন ও বাড়িভাড়া বৃদ্ধি না করলে মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শিক্ষা বিস্তারে ব্যর্থ হবে। আর মানসম্মত ও আধুনিক শিক্ষা বিস্তারে ব্যর্থ মানেই পিছিয়ে যাওয়া। তাই জাতীয়করণই একমাত্র সমাধান। শিক্ষাক্ষেত্রে বৈষম্য রেখে এগিয়ে যাওয়া প্রায় অসম্ভব। শিক্ষা, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের স্বার্থে মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ যুগের চাহিদা। মাধ্যমিক পর্যায়ে ৯৪ ভাগ শিক্ষার্থীর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিয়ে হেলাফেলার সুযোগ নেই। বেতন-ভাতা ও সুযোগ-সুবিধা বাড়িয়ে তথা জাতীয়করণ করলে মেধাবীরা শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করে আধুনিক শিক্ষাবিস্তারে ভূমিকা রাখবে। সহজ কথায়, শিক্ষকতা পেশাকে আকর্ষণীয় করতে হবে। নতুবা এভাবে চলতে থাকলে কিংবা যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে না পারলে দেশের অগ্রযাত্রা থেমে যাবে।
শিক্ষা ব্যবস্থায় সংস্কার অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল সবচেয়ে ভালো সমাধান হতে পারে। শিক্ষকের জীবনে যদি অর্থকষ্ট থাকে তাহলে শিক্ষক কীভাবে আনন্দের সঙ্গে পাঠদান করবেন? শিক্ষক যদি স্বপ্ন না দেখেন তাহলে শিক্ষার্থীদের কীভাবে আলোকিত করবেন? সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের বেলায় একই যোগ্যতা ও মানদণ্ড নির্ধারণ করা হলে বেতনের বেলায় কেনো বৈষম্য থাকবে? একই কারিকুলাম ও সিলেবাসে পাঠদান হলে বেতনের বেলায় কেনো ভিন্নতা? অনেককে বলতে শোনা যায়, মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণ করা হলে শিক্ষার মান পড়ে যাবে। এটা নিতান্তই কল্পনাপ্রসূত ও ভিত্তিহীন কথা। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর দুই দফায় হাজার হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করা হয়। তখন শিক্ষার মান কি পড়ে গিয়েছিলো? বরং মানসম্মত শিক্ষা বিস্তারে সেটাই ছিলো যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী শিক্ষা খাতে জিডিপির ৬ শতাংশ বরাদ্দের কথা বলা হয়েছে। বিগত কয়েক বছরের বাজেট বিশ্লেষণে দেখা গেছে, শিক্ষাক্ষেত্রে আমাদের বরাদ্দ থাকে জিডিপির প্রায় ২ শতাংশেরও কম (প্রযুক্তি খাত বাদে)।
মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবি দীর্ঘদিনের। পুরনো ধ্যানধারণা দূরে ঠেলে দূরদর্শী চিন্তাভাবনা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। শিক্ষকতা পেশাকে সম্মান করতে হবে। মানুষ গড়ার কারিগররা বৈষম্যের শিকার- এটা জাতির জন্য অভিশাপ। একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ ও চতুর্থ শিল্পবিপ্লব মোকাবিলায় মানসম্মত ও যুগোপযোগী শিক্ষার বিকল্প নেই। দেশের সেরা মেধাবীদের যথাযথ সম্মান ও সম্মানী দিয়ে শিক্ষকতা পেশায় আকৃষ্ট করার এখনই সময়। মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণ করা হলে গ্রাম-শহর পর্যায়ে শিক্ষাক্ষেত্রে বৈষম্য যেমন কমবে তেমনি সরকারি সুযোগ-সুবিধা দেশের আগামীর কর্ণধার সব শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছে যাবে। শিক্ষার্থী-শিক্ষক তো বটেই, দেশকে এগিয়ে নিতে মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ সময়ের দাবি।
লেখক: শিক্ষক, লৌহজং বালিকা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, লৌহজং, মুন্সীগঞ্জ